যুক্তরাষ্ট্রে যারা কখনো অ’স্ত্র ব্যবহারই করেননি তারাও আ’গ্নেয়াস্ত্র কিনছেন

0

ডেস্ক রিপোর্ট:  করোনা মহামারির এই আবহওে রেকর্ড পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে। গত বছর থেকে দেশটিতে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রিতে ঊর্ধ্বমুখী ভাব দেখা যাচ্ছে।এক গবেষণায় দেখা গেছে, গত বছর এক-পঞ্চমাংশ মার্কিন প্রথমবারের মতো অস্ত্রের মালিক হয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় এ অস্ত্র বিক্রির হার অনেক বেড়ে যায়।মার্কিন বার্তা সংস্থা নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির হার গত বছর থেকে অনেক বেড়ে গেছে। অন্য যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক বেশি মার্কিন এখন আগ্নেয়াস্ত্র কিনছেন। এর আগে এত বেশি আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির হার লক্ষ্য করা যায়নি।প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে কয়েক দশক ধরেই আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি বেড়েছে। কিন্তু গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় থেকে তা আরও বহুগুণে বেড়ে গেছে। ১৯৯৮ সাল থেকে মার্কিন সরকার প্রথমবারের মতো অস্ত্র কেনার ক্ষেত্রে ‘ব্যাকগ্রাউন্ড চেক’ করার শর্ত আরোপ করে। ক্রেতাকে যাচাই করা শুরু করে।সে সময় প্রথম এক সপ্তাহেই ১০ লাখ আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির রেকর্ড করা হয়। এখনো যাচাই-বাছাইয়ের মধ্য দিয়েই মার্কিনদের অস্ত্র কিনতে হচ্ছে। অস্ত্র বিক্রিতে আগের সেই রেকর্ড এবার পেরিয়ে গেছে। এবার চলতি বসন্তের এক সপ্তাহে ১২ লাখ অস্ত্র বিক্রি হয়েছে।ডেভিসে ইউনিভার্সিটি অব ক্যালফোর্নিয়ার অস্ত্র বিশেষজ্ঞ গ্যারেন জে. উইনটেমিউট বলেন, ‘বর্তমান আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির এ প্রবাহ আমরা আগে কখনোই লক্ষ্য করিনি। সাধারণত আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রি ধীরগতিতে চলে। তবে গত বছর থেকে তা দ্রুত চলছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, যাঁদের অস্ত্র আছে, তারাই যে কেবল নতুন মডেলের অস্ত্র কিনছেন, তা নয়। বরং যারা কোনো দিন অস্ত্র ব্যবহার করেননি, এবার তারাও আগ্নেয়াস্ত্র কিনছেন।নর্থ-ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি ও হার্ভার্ড ইনজুরি কন্ট্রোল রিসার্চ সেন্টারের তথ্য বলছে, গত বছর প্রায় এক-পঞ্চমাংশ মার্কিন প্রথমবারের মতো অস্ত্র কিনেছেন। তাঁদের মধ্যে অর্ধেক নারী, এক-পঞ্চমাংশ কৃষ্ণাঙ্গ এবং বাকি এক-পঞ্চমাংশ হিসপানিক জাতিগোষ্ঠীর।এ নিয়ে ইউনিভার্সিটি অব শিকাগোর রিসার্চ সেন্টার একটি জেনারেল সোশ্যাল সার্ভে পরিচালনা করেছে। সেই জরিপের তথ্য বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯ শতাংশ পরিবারে আগ্নেয়াস্ত্র রয়েছে। ২০১৬ সালে ৩২ শতাংশ পরিবারে আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।

Share.