বীরগঞ্জ পৌরসভার ৩য় তম নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ ও গন সংযোগ চলছে

0

বাংলাদেশ থেকে দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধি:  দিনাজপুরের বীরগঞ্জ পৌরসভার ৩য় তম পৌর নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের দৌড়ঝাপ, গন সংযোগ চলছে, শুভেচ্ছা পোষ্টার ও বিল বোর্ডে ছেয়ে গেছে পৌর শহর, একাধিক প্রার্থী নিয়ে আসনটি ধরে রাখতে চায় আ’লীগ, বিএনপি ও জামায়াত চায় তাদের হাতে নিতে। তফশীল ঘোষনা না হলেও নির্বাচনী হাওয়া বৈতে শুরু করেছে পৌরশহরে। বিভিন্ন স্থানে এবং অলীতে-গলীতে শুভেচ্ছা পোষ্টার ও বিল বোর্ডে ছেয়ে গেছে, গন সংযোগ ও ফেস্টুন লাগিয়ে ভোটারদের আকর্ষন কাড়তে মরিয়া হয়ে উঠেছে প্রার্থীরা। নির্বাচন করার ইচ্ছায় যারা মাঠে রয়েছেন তাদের অন্যতম আ’লীগ প্রার্থী বর্তমান পৌর মেয়র ও পৌর আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ মোশারফ হোসেন বাবুল (যিনি গত ২০১৯ সালে ১৫ এপ্রিল উপ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মোবাইল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী হয়েছেন), অপরদিকে গত উপ নির্বাচনে উপজেলা আ’লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক মোঃ নুর ইসলাম নুর দলীয় প্রার্থী হিসাবে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়। এবারো তিনি ও উপজেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মোঃ শামীম ফিরোজ আলম দলীয় প্রার্থী হিসাবে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গন সংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে অপর আরেক এক জন দলীয় প্রার্থী হতে ইচ্ছুক বলে মাঠে নাম পাওয়া যাচ্ছে, তিনি পৌর আ’লীগ সাধারন সম্পাদক প্রভাষক মোঃ রফিকুল ইসলাম। বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্তে এই সরকারের আমলে নির্বাচন বয়কট করায় প্রতীক না নিয়ে প্রতিকুল অবস্থাতেও বিশিষ্ঠ ব্যবস্যায়ী সমাজ সেবক বিএনপির নেতা সাবেক ভিপি মোঃ রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু গত ২০১৯ সালে উপ-নির্বাচনে ব্যক্তিগত ইমেজকে কাজে লাগিয়ে সতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে জগ মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে বিজয়ী প্রার্থীর সাথে প্রতিদ্বন্দীতা করে ২য় হয়েছিলেন। এবারেও তিনি প্রার্থী হিসাবে বিভিন্ন এলাকায় গন সংযোগ ও শুভেচ্ছা জানিয়ে ভোটার ও জনগনের কুশল বিনিময় চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী নির্বাচনে ব্যক্তিগত ইমেজের পাশাপাশি বিএনপির দলীয় ধানের শীষ প্রতীক ও নেতা কর্মীদেরকে সাথে পেলে ভোটের পরিস্থিতি তার অনুকুলে চলে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি এরশাদুল হক ও পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক নমিরুল ইসলাম চৌধুরী সেনা জানায়, রেজওয়ানুল ইসলাম রিজু তাদের দলীয় প্রার্থী। জামায়াতের সাবেক উপজেলা আমীর আলহাজ্ব মাওলানা মোঃ হানিফ পৌর মেয়র থাকা অবস্থায় পদত্যাগ করে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহন করায় পদটি শুন্য হয়ে ২০১৯ সালে উপ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জামায়াত আসনটি উদ্ধারের চেষ্টায় সাবেক মেয়র মোঃ হানিফ এবারো প্রার্থী হতে পারে বলে দলীয় সুত্র জানায়। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় প্রার্থী হতে না পারলে দলীয় সিদ্ধান্ত হলে মোঃ রাশেদুন নবী বাবু প্রার্থী হতে পারে। গত উপ নির্বাচন ছাড়া মাওলানা মোঃ হানিফ জামায়াতের একমাত্র প্রার্থী যিনি মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসাবে বরাবর সামনের শারিতে ছিলেন। বর্তমান জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাতীয় পার্টির প্রার্থী গত নির্বাচনে থাকলেও দন্দের কারনে নেতাকর্মী ২ ভাগে বিভক্ত হওয়ায় এখন পযন্ত পৌর নির্বাচনে কোন প্রার্থীর নাম পাওয়া যায়নি। অপরদিকে বীরগঞ্জ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ শাহানাজ পারভিন নিজেকে মেয়র প্রার্থী হিসাবে পরিচয় দিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে দোয়া নিচ্ছেন। তিনি মরিচা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম লুৎফর রহমানের কন্যা ও মরিচা ইউনিয়নের সাবেক সদস্যাও ছিলেন। বর্তমানে আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও জামায়াত প্রার্থী গনসংযোগের পাশাপাশি তাদের দলীয় সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে। উল্লেখ্য , বীরগঞ্জ উপজেলা শহরের ৫নং সুজালপুর ইউনিয়নের ৪টি মৌজার আংশিক এলাকার ৬.৩০বর্গ কি.মি. আয়তন নিয়ে গত ২০০২ সালে ১৫ জুন স্থাপিত হয়ে কার্য্যক্রম শুরু করেন। সুজালপুর ইউনিয়ন পরিষদের ১টি অস্থায়ী রুমে সে সময়বীরগঞ্জ উপজেলার তৎকালীন নির্বাহী অফিসার এস.এম আশরাফুজ্জামান প্রথম পৌর প্রশাসক হয়ে বীরগঞ্জ পৌরসভা সল্প সময়ে সরকারের সু-দৃষ্টিতে ২০০৬ সালের ১১ সেপ্টেম্বর সরকার পৌরসভাটিকে ’গ’শ্রেণী হতে খ’শ্রেণীতে উন্নীত করেন এবং গত ২০১১ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথম ও ২০১৫ সালে ২য় পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ২ বারেই জামায়াতের প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ হানিফ বিজয়ী হয়। বীরগঞ্জ পৌর শহরের ৯টি ওয়ার্ডে মোট ১৩ হাজার ৯১৭ জন ভোটার রয়েছে।

Share.