বিনোদন ডেস্ক: নিজের থেকে ১২ বছরের বড় অমৃতা সিংকে ১৯৯১ সালে বিয়ে করেন বলিউডের ছোটে নবাব সাইফ আলি খান। অভিনেতার বয়স তখন মাত্র ২১। অভিনেত্রী অমৃতা তখন ৩৩ বছরের যুবতী। অন্যদিকে, সাইফের বোন সাবা আলি খানের বয়স তখন ১৫ বছর। ছোট বোন সোহা আলি খান আরও ছোট। ভাই সাইফের থেকে অমৃতা ১২ বছরের বড় হলেও ভাবীর সঙ্গে দুই ননদ সাবা ও সোহার সম্পর্ক ভালোই ছিল। সম্প্রতি তারই প্রমাণ দিলেন সাবা। যদিও তিনি ক্যামেরার সামনে আসেন না। কিন্তু তার ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলের দিকে বিশেষ নজর থাকে অনুরাগীদের। কারণ তিনি পতৌদি পরিবারের বিরল ছবি পোস্ট করেন মাঝে মধ্যেই। অমৃতার জন্মদিনে তেমনই বিরল ছবি পোস্ট করলেন সাবা। তাতে দেখা যাচ্ছে, দুটি ছবি কোলাজ করে বসানো। সাবা এবং অমৃতার হাসিমুখের দুটি ছবির নীচে সাবা লিখেছেন, ‘আমি তখন ১৬ বা তার কিছু বেশি। তুমি পাগল, উন্মাদ এবং অপূর্ব। আমার পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।’ এভাবেই সাবেক বৌদির প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করলেন শর্মিলা-কন্যা সাবা। আদর করেই অমৃতাকে তিনি ‘পাগল’ আর ‘উন্মাদ’ সম্বোধন করলেন। এদিকে, অমৃতার সঙ্গে ডিভোর্স হওয়ার পর দীর্ঘ দিন মানসিক চাপে ছিলেন সাইফ। একটি সাক্ষাৎকারে সে কথা স্বীকারও করেছিলেন। সাইফের কথায়, ‘আমি এবং আমার স্ত্রী আলাদা হয়ে গিয়েছি। আমি ওকে সম্মান করি। কিন্তু কেন বারবার মনে করানো হচ্ছে যে স্বামী হিসেবে আমি কতটা খারাপ? বা বাবা হিসেবে কতটা খারাপ? আমার ছেলে ইব্রাহিমের ছবি আমার ব্যাগে থাকে। ওটা দেখেই কান্না পায়। আমার মেয়ে সারার কথা মনে পড়ে।’ ২০০৪ নাগাদ হঠাৎই বিচ্ছেদ হয়ে যায় সাইফ ও অমৃতার। এরপর ছেলে মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকতে শুরু করেন অমৃতা। সারার এক সাক্ষাৎকার থেকে জানা যায়, টানা ১০ বছর নিজের মাকে হাসতে দেখেননি তিনি। তাই মায়ের সঙ্গে সময় কাটান যত সম্ভব। সাইফ অভিযোগ করেন, বিবাহবিচ্ছেদের পরে তিনি ছেলেমেয়েদের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন না। নিজের পরিবারের সঙ্গে সারা-ইব্রাহিমকে রাখতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তা করতে পারেননি। যদিও অমৃতা নাকি কখনোই ছেলেমেয়ের সঙ্গে দেখা করতে সাইফকে বাধা দেননি।