ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা মেসিকে ঠেকাতে লাথি মারতেন!

0

স্পোর্টস ডেস্ক: এবারের চ্যাম্পিয়নস লিগের কথাই ধরা যাক। নাপোলির বিপক্ষে শেষ ষোলোর প্রথম লেগে মুখোমুখি বার্সেলোনা। ম্যাচের আগে ইতালিয়ান ক্লাবটির কোচ গাত্তুসো জানালেন, মেসিকে আটকাতে খাচা বানিয়ে রেখেছেন তিনি। ব্রাজিল ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা তো আরও কঠোর। তার মতে, শুধু বন্দুক দিয়েই ঠেকানো সম্ভব আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে! বন্দুক না হলেও ব্রাজিলের খেলোয়াড়রা মেসিকে আটকাতে লাথি ‌থেরাপির’ প্রয়োগ ঠিকই করেছেন। সেলেসাও জার্সিতে ২২ ম্যাচ খেলা মিডফিল্ডার ফিলিপে মেলো ফাঁস করেছেন তথ্যটি। কাজটা ইচ্ছা করে করলেও সেটি ছিল শুধু মেসির ছন্দ নষ্ট করার কৌশল। বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডকে ‌অসাধারণ খেলোয়াড় মানা মেলো জানিয়েছেন, ব্রাজিল দলের সবাই পালাক্রমে কৌশলে মেসির পায়ে আঘাত করতেন। মেসিকে বিরক্ত করা ছিল তাদের উদ্দেশ্য। ৩৬ বছর বয়সী মেলোর জাতীয় দল ক্যারিয়ার খুব বেশি লম্বা হয়নি। ২০০৯ সালে শুরু হয়ে ২০১০ সালেই শেষ হয় আন্তর্জাতিক ফুটবলে তার পথচলা। মাঠে পায়ের কাজের চেয়ে শারীরিক শক্তিই তিনি কাজে লাগাতেন বেশি। ২০১০ বিশ্বকাপে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠও ছাড়তে হয়েছিল এই মিডফিল্ডারকে। পেশাদারি ক্যারিয়ারে খেলেছেন প্রায় পুরো ইউরোপেই, যার মধ্যে আছে জুভেন্টাস ও গ্যালাতাসারের মতো ক্লাব। সেই তিনিই এতদিনে এসে জানালেন ব্রাজিলের মেসিকে আটকানোর কৌশল। আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম ক্লারিনকে তিনি বলেছেন, ‌মেসি অনন্য এক খেলেয়াড়। যখন ব্রাজিল তার বিপক্ষে খেলতো, তখন আমরা সবাই বলাবলি করতাম, তাকে একবার করে লাথি মারবো। আর সেটা সবাই করতো পালাক্রমে।’ কেন লাথি মারা হতো, সেই ব্যাখ্যাও মেলে দিলেন পরের কথায়, ‌আমরা এটা করতে না পারলে মেসিকে আটকানো খুবই কঠিন হয়ে পড়তো। আমরা ওকে আঘাত করতে চাইতাম না, শুধু চাইতাম খেলার ছন্দ নষ্ট করার সঙ্গে ওকে বিরক্ত করতে। এটা ছিল আমাদের ট্যাকটিকসের অংশ।’ মেসি-ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর শ্রেষ্ঠত্ব নিয়ে চলা তর্কেরও ইতি টেনে দিলেন এই ব্রাজিলিয়ান, ‌মেসি দুর্দান্ত, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চেয়েও ভালো। ক্রিস্টিয়ানো পাঁচ গোল করতে পারে, কিন্তু মেসি পাঁচ গোল তো করবেই, সঙ্গে সতীর্থদের দিয়ে আরও করাবে। ও আসলে রোনালদোর চেয়ে পরিপূর্ণ খেলোয়াড়।’

Share.