ভারতের চেয়ে দ্রুত বাড়বে বাংলাদেশ ও নেপালের অর্থনীতি: বিশ্বব্যাংক

0

ডেস্ক রিপোর্ট: আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের সঙ্গে বার্ষিক বৈঠক সামনে রেখে নতুন প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিশ্বব্যাংক। এতে বলা হয়েছে টানা দ্বিতীয় বছরের মতো নিম্নমুখী হবে ভারতের অর্থনীতি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরো দক্ষিণ এশিয়াতেই আমদানি কমেছে। বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট হার্টিগ স্কফার বলেন, শিল্প উৎপাদন ও আমদানি কমার পাশাপাশি আর্থিক বাজারে অস্থিরতা দক্ষিণ এশিয়ায় অর্থনৈতিক মন্দা ত্বরান্বিত করেছে। বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছর ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশে নেমে যেতে পারে। ধারাবাহিকভাবে ২০২১ সাল নাগাদ তা ভালো হয়ে ৬ দশমিক ৯ শতাংশে উঠতে পারে বলে আশা করছে বিশ্বব্যাংক। পরের বছর তা ৭ দশমিক ২ শতাংশে উন্নীত হতে পারে। অপরদিকে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ২০১৮ সালের ৭ দশমিক ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে চলতি অর্থবছর ৮ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছাতে পারে বলে আশা করা হয়েছে ওই প্রতিবেদনে। ২০২০ ও ২০২১ সালে এই প্রবৃদ্ধির পরিমাণ যথাক্রমে ৭ দশমিক ২ ও ৭ দশমিক ৩ হতে পারে। বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশীয় প্রধান অর্থনীতিবিদ হ্যানস টিমার বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে ব্যাপক লাভবান হতে পারে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্প। তিনি বলেন, তথ্য-উপাত্ত থেকে সাধারণভাবে আমরা যা দেখতে পাচ্ছি তা হলো পুরো অঞ্চল বিশেষ করে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের থেকেও ভালো করছে বাংলাদেশ। শিল্প উৎপাদনে আমরা তা দেখতে পাচ্ছি, রফতানিতে তা দেখতে পাচ্ছি। নেপালে চলতি বছর বার্ষিক প্রবৃদ্ধি গড়ে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ আর পরের বছর এর পরিমাণও বেড়ে যেতে পারে। পর্যটক আনাগোনা ও সরকারি ব্যয় বাড়ায় গতিশীল সেবা ও নির্মাণ কর্মকান্ড প্রবৃদ্ধি বাড়ায় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে বিশ্বব্যাংক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি সেবাবে বিকেন্দ্রীকরণকে অগ্রাধিকার হিসেবে নির্ধারণ করায় দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতি আরও বেশি স্পর্শকাতর হয়ে পড়েছে। সংস্থাটির অর্থনীতিবিদ হ্যানস টিমার বলেন, বিকেন্দ্রীকরনের প্রতিশ্রুতি এখনও পালন করতে হবে আর যদি তা ভালোভাবে করা না হয় টুকরো টুকরো হিসেবে অধঃপতিত হয়ে পড়তে পারে।

Share.