ভাড়া বাড়াতে চান লঞ্চ মালিকরা

0

ঢাকা অফিস: করোনার কারণে নৌপথে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হলে খরচ পুষিয়ে নিতে ভাড়া বাড়ানোর জন্য সরকারের কাছে  শুক্রবার (২৯ মে) প্রস্তাব করবে লঞ্চ মালিকরা। এদিকে, করোনা সংক্রামণ এড়াতে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জোর তাগিদ দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। অপরদিকে বিআইডব্লিউটিএ বলছে, এবিষয়ে সরকার গ্রহণ করবে সময়োপযোগী যথাযথ পদক্ষেপ। নানা কারণে রাজধানীতে যাতায়াতে নৌপথই উপকূলীয় এলাকার মানুষের প্রথম পছন্দ। করোনার আগে ডেক বা তৃতীয় শ্রেণীতে গায়ে গা  লাগিয়ে এবং শুয়ে বা বসে যাতায়াত করত মানুষ। করোনা পাল্টে দিয়েছে সবকিছু। লঞ্চমালিকরা বলছেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধারণ ক্ষমতার ৫০ বা ৬০ ভাগ যাত্রী পরিবহন করতে হবে। এতে মালিকদের আয় আগের চেয়ে কমবে, তাই লঞ্চ ভাড়া বৃদ্ধির জন্য প্রস্তাব করার কথা বলেছেন এমভি কীর্তনখোলা লঞ্চ এর মালিক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌস। একই সাথে নৌপরিবহনে প্রণোদনা দেবার দাবি করলেন এমভি সুন্দরবন লঞ্চ মালিক ও কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু।করোনা সংক্রমণ রোধে নৌপথে অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিয়েছেন বরিশাল সিভিল সার্জন ডা. মো. মনোয়ার হোসেন। আর এবিষয়ে সরকার যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানালেন বিআইডব্লিউটিএ’র উপ-পরিচালক আজমল হুদা মিঠু।ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী বিলাসবহুল নৌযানের সংখ্যা ২৩টি। উপকূলীয় এলাকায় চলে ২শ’টি আর সারা দেশে বিভিন্ন ধরণের নিবন্ধিত ছোট-বড় নৌযানের সংখ্যা ৭৫০টি।শুধু ঢাকা-বরিশাল নৌপথে দৈনিক গড়ে ১২ থেকে ১৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করেন। আর রাজধানীর সাথে উপকূলীয় এলাকা সমূহে নৌপথে যাতায়াতকারী যাত্রীদের সংখ্যা আরও লক্ষাধিক।করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে নৌপথে স্বাস্থ্যবিধি পুরাপুরি না মানা হলে এর পরিণাম হবে ভয়াবহ। এমনটাই মনে করছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

Share.