মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ২৪

মজনু মিয়া যেন সেই ‘জজ মিয়া কাহিনী’র মতো না হয়: জাফরুল্লাহ চৌধুরী

0

ঢাকা অফিস: ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনু মিয়াকে ‘জজ মিয়া কাহিনী’র মতো মনে করছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। সরকা‌রের উদ্দেশ্যে তিনি বলেছেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢা‌বি) শিক্ষার্থী ধর্ষ‌ণের অভিযোগে একজন মজনু মিয়া‌কে গ্রেপ্তার করা হ‌য়ে‌ছে। কিন্তু এই মজনু মিয়া যেন সেই ‘জজ মিয়া কাহিনী’র মতো না হয়।’ বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‌‘গণতন্ত্র উদ্ধার আন্দোলনের’ আয়োজনে ঢাবি ছাত্রী ধর্ষণের প্রতিবাদে এক মানববন্ধনে এ কথা বলেন জাফরুল্লাহ। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ১০ মাস পর রাজধানী থেকে ‘জজ মিয়া’ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরে গণমাধ্যমকে জানানো হয়, তারা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে। বলা হয়, জজ মিয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। অথচ সেই জবানবন্দিও ছিল সিআইডির সাজানো নাটক। ২০০৮ সালের ১১ জুন গ্রেনেড হামলা মামলার অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় চার দলীয় জোট সরকারের আমলে গ্রেপ্তার হওয়া জজ মিয়াকে। যিনি কিনা কোনও দিন গ্রেডেন চোখেই দেখেননি। মজনু জজ মিয়া হলে ধর্ষণ বাড়বে দাবি করে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার মজনুও যদি যেন শেষ পর্যন্ত জজ মিয়া কা‌হিনীর মতো হয় তাহ‌লে দে‌শে যে হা‌রে ধর্ষণ বাড়ছে তার সমাধান কখনোই হ‌বে না।’ গোয়েন্দা সংস্থার সমালোচনা করে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের পাশে একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। দেশে এত গোয়েন্দা সংস্থা, তারা কী করে? তারা কি শুধু প্রধানমন্ত্রীকে পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করে? জনগণকে পাহাড়া দেওয়ার দা‌য়িত্ব কি তাদের নাই?’ চলমান ধর্ষণের ধর্ষণের ঘটনা নিয়ে তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার তো হচ্ছে বাংলাদেশের মা-বোনেরা। গত বছর নির্বাচনের পরে একজন মা ধর্ষণের শিকার হয়েছিল। এখনও ঢাকায় নির্বাচন আমেজ চলছে। কীভাবে বলবো- এই নির্বাচনের পরে আর কেউ ধর্ষণ হবে না। এসব থেকে বাঁচতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে হবে।’ ‘এই ধর্ষণের বিরুদ্ধে গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রতিবাদ সভা করেছেন, এটা নিঃসন্দেহে ভালো। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ছাত্রীরা বলাৎকার হয়, মেধাবী ছাত্রকে পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়- এটাও তো বড় ধরনের অপরাধ। মূল কথা হলো প্রতিটি ক্ষেত্রেই আমাদের মা-বোনেরা ধর্ষণের শিকার হয়।’ জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাফরুল্লাহ বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ হয় নাই, ধর্ষণ হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। ধর্ষণের শিকার হয়েছে মুক্তিযোদ্ধারা, দেশের জনগণ। তাই আর কতকাল ধৈর্য ধরে থাকবেন। এসব থেকে বাঁচতে হলে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন ছাড়া উপায় নাই।’

Share.