মামলা করে ফেসবুকের দেশীয় এজেন্ট থেকে ৭৭ লাখ টাকা ভ্যাট আদায়

0

ঢাকা অফিস:  মামলা করে ফেসবুকের বাংলাদেশি এজেন্ট এইচটিটিপুলের কাছ থেকে ৭৭ লাখ টাকা পেয়েছে ভ্যাট কর্তৃপক্ষ, বাকি টাকাও শিগগিরই পরিশোধ করবে তারা। ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, শুধু ফেসবুক নয় ভ্যাট ফাঁকি দিলে অনলাইন সেবা দানকারী যেকোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধেই কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।এইচটিটিপুল বিশ্বের ত্রিশটি দেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনী এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। মে মাস থেকে তারা ফেসবুকের বাংলাদেশি এজেন্ট হিসেবে কাজ শুরু করে। এজন্য তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নিবন্ধন নেয়। তাদের অফিসের ঠিকানা দেখনো হয়েছে ৩৩ কাওরান বাজারের হজরত শাহ আলী টাওয়ারের ১১ তলা। এইচটিটিপুল এই সময়ের মধ্যে দেশের ৩১টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ১৯৮টি চালানে ৬ কোটি ২২ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করে। আইন অনুযায়ী অনলাইন সেবা দানকারী প্রতিষ্ঠান ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট দেয়। এতে ওই প্রতিষ্ঠান ৯৩ লাখ ৩২ হাজার টাকা ভ্যাট কেটে রাখে। কিন্তু সেই টাকা তারা কোষাগারে জমা দেয়নি। তাদের প্রতিমাসে রিটার্ন দাখিলের কথা থাকলেও নিবন্ধনের পর একবারও তা দাখিল করেনি। নির্দিষ্ট ঠিকানায় গিয়ে কার্যালয়েরও কোনো অস্তিত্ব মেলেনি, ফলে গত ১৩ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে ভ্যাট নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর। গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের ভ্যাট নিরীক্ষার মহাপরিচালক ড. মইনুল খান জানান, এইচটিটিপুল এর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে । তারা ৩১টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৬ কোটি ২২ লাখ টাকার বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করেছে। এইচটিটিপুল  ৭৭ লাখ টাকা জমা দিয়েছে এবং জরিমানা বাবদ ২০ হাজার টাকা জমা দিয়েছে। মামলা শেষ হবার আগেই তারা সারা দিয়েছে এটা ইতিবাচক। এটা একটা উদাহরণ, অন্য যারা ব্যবসা করছে এখানকার আইনটা তাদের মানতে হবে। তিনি বলেন, আমরা নিশ্চিত হতে চাই ভ্যাট ও ট্যাক্স সরকারের কোষাগারে জমা হবে এবং একইসাথে এখান থেকে যে টাকাটা সংগ্রহ করা হবে সেটা জেনো সঠিক উপায়ে তাদের অন্য কোম্পানিতে ব্যবহার হয়। মামলার কার্যক্রম শুরুর আগেই নড়েচড়ে বসে এইচটিটিপুল। প্রতিষ্ঠানটি ভ্যাট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ৭৭ লাখ টাকা জমা দেয়, সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানাও। ফেসবুক ছাড়াও নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম, জি-ফাইভের মতো অনেক বিদেশি অনলাইন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান এদেশে কাজ করছে। ভ্যাট ফাঁকি দিলে সবার বিরুদ্ধেই কঠোর হবে কর্তৃপক্ষ। ফেসবুক, টুইটার, গুগল, ইউটিউবসহ কয়েকটি মাধ্যমে প্রচুর বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যাংকিং চ্যানেলে বিল পরিশোধ করা হয় না। ফলে এ খাত থেকে সঠিকভাবে রাজস্ব পায় না সরকার।

Share.