মিয়ানমারের সেনাসমর্থিত পাঁচ চ্যানেল বন্ধ করল ইউটিউব

0

ডেস্ক রিপোর্ট: গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে অভ্যুত্থানের মাধ্যমের মিয়ানমারের ক্ষমতায় বসা সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রিত পাঁচটি ইউটিউব চ্যানেলের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। বার্তা সংস্থা রয়টার্স আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে।জানা যায়, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থান ও এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর সশস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে সেনাসমর্থিত পাঁচটি ইউটিউব চ্যানেল নিজেদের প্ল্যাটফর্ম থেকে সরিয়ে নিয়েছে ইউটিউব।এক বার্তার  প্রশ্নের জবাবে ইউটিউবের এক মুখপাত্র বলেন, ‘আমরা আমাদের কমিউনিটি গাইডলাইন অনুযায়ী ইউটিউব থেকে বেশ কয়েকটি চ্যানেল সরিয়ে নিয়েছি। বেশ কয়েকটি ভিডিও-ও সরানো হয়েছে।’মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থা জায়ান্টের মতে, ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা চ্যানেলগুলোর মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রীয় নেটওয়ার্ক এমআরটিভি, (মায়ানমার রেডিও ও টেলিভিশন), সামরিক মালিকানাধীন মায়াওয়াদি মিডিয়া, এমডব্লিউডি ভ্যারাইটি এবং এমডব্লিউডি মায়ানমার।সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভরতদের ওপর ফের গুলি চালিয়েছে পুলিশ।প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আজ শুক্রবার মান্দালয়ে এ গুলির ঘটনায় অন্তত একজন নিহত হয়েছে বলে। গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই ব্যক্তির ঘাড়ে গুলি লাগার পর তার মৃত্যু হয়।এর আগে জাতিসংঘ বুধবার বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশ ও সৈন্যদের গুলি ও সংঘাতে ৩৮ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছিল।দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দেশটিতে ফেব্রুয়ারির অভ্যুত্থানের পর বিক্ষোভে এরই মধ্যে অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এ দমনপীড়ন উপেক্ষা করেই দেশটিতে অভ্যুত্থানবিরোধী আন্দোলন অব্যাহত আছে।মিয়ানমারের সামরিক জান্তার ওপর আন্তর্জাতিক চাপও বাড়ছে; সেখানকার সংকট নিয়ে আলোচনা করতে নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো প্রস্তুতি নিচ্ছে।জাতিসংঘের মিয়ানমার মিশনে নিজেদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় সামরিক জান্তার ব্যর্থতা ও যুক্তরাষ্ট্রের নতুন নিষেধাজ্ঞার পরপরই শুক্রবার মান্দালয়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর এ গুলির ঘটনা ঘটল।অভ্যুত্থানবিরোধীরা এদিনও মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়া এবং অং সান সু চিসহ রাজনীতিকদের মুক্তির দাবিতে নানান কর্মসূচি করেছে।

Share.