মিয়ানমারে বিরোধীদের ওপর দমনপীড়ন অব্যাহত থাকবে: মিন অং হ্লাইং

0

ডেস্ক রিপোর্ট: মিয়ানমারে বিরোধীদের ওপর দমনপীড়ন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়ে দিলেন দেশটির জান্তা প্রধান মিন অং হ্লাইং। একই সঙ্গে জরুরি অবস্থা শেষ হলে ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন’ আয়োজনের কথাও বলেছেন তিনি। নির্বাচিত সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখলের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী গণতন্ত্রকামী বিরোধীদের ওপর দমনপীড়ন চালাচ্ছে। অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করা দেশটি অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক কোন্দলে বিপর্যস্ত। এমন পরিস্থিতিতে সোমবার বিরোধীদের ওপর দমন পীড়নের কথা জোর দিয়ে ব্যক্ত করলেন জান্তা প্রধান। বলেন, ‘সামরিক বাহিনী নির্বাচনের আয়োজন করবে।’ এর আগে তিনি ভোটের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ঠ সংখ্যক এলাকা সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে নেই বলে স্বীকার করেছিলেন। ওই বক্তব্যের করার কয়েক সপ্তাহ পর তার নতুন বক্তব্য এল। নির্বাচিত সরকারে উৎখাতের পর জাতিগত বিদ্রোহীদের সঙ্গে নতুন করে লড়াই করছে সেনাবাহিনী। এরইমধ্যে জান্তা বিরোধী কয়েক ডজন ‘পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস’ জন্ম নিয়েছে। এরফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল এখন যুদ্ধে বিধ্বস্ত এবং আর্থিক বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। রাজধানী নেপিদোতে বার্ষিক সশস্ত্র বাহিনী দিবসের কুচকাওয়াজে মিন অং হ্লাইং বলেন, জান্তা সরকার বিরোধীদের এবং তাদের সমর্থনকারী জাতিগত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী ‘চূড়ান্ত পদক্ষেপ’ নেবে। ‘জাতীয় ঐক্য সরকারের’ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, এনইউজির সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং এর অনুগত তথাকথিত পিডিএফকে কঠোরভাবে মোকাবেলা করা প্রয়োজন। পাশাপাশি জান্তা সরকার জরুরি অবস্থা শেষ হলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করবে। যেকোনো নির্বাচনের আগে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকা অতি গুরুত্বপূর্ণ। গত মাসে সামরিক বাহিনী জরুরি অবস্থার মেয়াদ দুই বছর বাড়ানোর ঘোষণা দেয় এবং নির্বাচন স্থগিত করে। এর আগে তারা আগস্ট নাগাদ দেশে নির্বাচন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। স্থানীয় একটি পর্যবেক্ষণ গ্রুপের মতে, মিয়ানমারে অভ্যুত্থানের পর থেকে ভিন্নমতের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর দমন অভিযানে ৩ হাজার ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে যুদ্ধের কারণে ১০ লাখেরও বেশি মানুষ গৃহহীন হয়েছে।

Share.