মুন সিনেমা হলের জমি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নামে রেজিস্ট্রি হবে

0

ঢাকা অফিস: মুন সিনেমা হলের জমি ও স্থাপনার মূল্য হিসেবে ৯৯ কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৪ টাকা ২৭ পয়সার চেক পেলেন বাংলাদেশ ইতালিয়ান মার্বেল ওয়ার্কস লিমিটেডের মালিক মাকসুদুল আলম। সিনেমা হলটি পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাটে অবস্থিত। আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ চেক হস্তান্তর করে। এখন পুরান ঢাকার মুন সিনেমা হলের জমি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নামে রেজিস্ট্রি করে দিতে হবে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। মুন সিনেমা হলের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট সাইফুল্লাহ মামুন। ইতালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদুল আলম ছিলেন মুন সিনেমা হলের মালিক। মুক্তিযুদ্ধের সময় সম্পত্তিটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীকালে মালিকানা দাবি করে মাকসুদুল আলম আদালতের দ্বারস্থ হন। হাইকোর্টে রায় পক্ষে যাওয়ার পর আপিল বিভাগ ২০১০ সালের ২ ফেব্রুয়ারি সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করে তা বহাল রাখেন। একইসঙ্গে ৯০ দিনের মধ্যে মুন সিনেমা হল বাংলাদেশ ইতালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডকে ফেরত দেওয়ার জন্য মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টসহ সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশ দেন। পঞ্চম সংশোধনী বাতিল সংক্রান্ত আপিল বিভাগের দেওয়া রায়ে ৯০ দিনের মধ্যে পুরান ঢাকার ওয়াইজঘাট এলাকার মুন সিনেমা হল মূল মালিককে ফেরতের নির্দেশ দেন। কিন্তু ইতালিয়ান মার্বেলস ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও মুন সিনেমা হলের মালিক মাকসুদুল আলম তার জমি না পেয়ে ২০১২ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, মুন সিনেমা হল আগের অবস্থায় ফেরত দেওয়ার কোনো উপায় নেই। এখন মুন সিনেমা হলের জমির মূল্য ও মুন সিনেমা হলের মূল স্ট্রাকচারের (কাঠামো) মূল্য ধরে এর মালিক ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন। এরপর ২০১৭ সালে আদালত একটি মুন সিনেমা হলের জমি ও স্থাপনার মূল্য নির্ধারণের নির্দেশ দেন। সে অনুসারে মূল্য নির্ধারণ করে আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়। পরে আপিল বিভাগ ২০১৮ সালের ১৮ জানুয়ারি এক আদেশে ক্ষতিপূরণসহ ভবন ও জমির মূল্য বাবদ ৯৯ কোটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার ৭৪ টাকা ২৭ পয়সা পরিশোধ করতে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাষ্ট ও এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রতি নির্দেশ দেন। ওই বছরের ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে এ টাকা তিন কিস্তিতে পরিশোধ করতে বলা হয়। আদেশের অনুলিপি পাওয়ার দু’মাসের মধ্যে ২৫ কোটি, এর দু’মাসের মধ্যে আরো ২৫ কোটি এবং বাকী টাকা ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়। পরবর্তীকালে বিভিন্ন সময়ে আরও সময় চায় রাষ্ট্রপক্ষ।

Share.