মোদি পাঠাচ্ছেন ভেবে অন্যের অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নিলেন লক্ষাধিক টাকা!

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ক্ষমতায় আসার আগে ঝাঁপিভর্তি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেসব অঙ্গীকার একটু বেশিই বিশ্বাস করে ফেলেছিলেন মধ্য প্রদেশের এক বাসিন্দা! তবে এতে করে ভোগান্তিতে পড়েছেন তিনি। কেননা মোদি পাঠাচ্ছেন ভেবে অন্যের অ্যাকাউন্ট থেকে ইতোমধ্যেই তিনি তুলে নিয়েছেন লক্ষাধিক টাকা! এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়, ভিন্ড জেলার আলমপুরে অবস্থিত এসবিআই ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন এক ব্যক্তি। কিন্তু ব্যাংকের গাফিলতিতে ওই ব্যক্তির জমানো টাকা তুলছিলেন অন্য ব্যক্তি! উত্তোলনকারী ব্যক্তি ভেবেছিলেন তার অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাচ্ছেন মোদি! তাই সহজেই তা তুলে নেন তিনি। এই দুই ব্যক্তির নাম একই। একজন রুরাই গ্রামের বাসিন্দা হুকুম সিং। অন্যজন রোনী গ্রামের বাসিন্দা হুকুম সিং। উভয়েরই ব্যাংকটির আলমপুর শাখায় অ্যাকাউন্ট ছিল। ব্যাংকের ভুলে দুই জনের পাস বইয়ে কেবল ছবি দুটিই আলাদা, বাকি সবই এক! এমনকি অ্যাকাউন্ট নম্বরও একই। এক অ্যাকাউন্টের দুই মালিক এবং দুই মালিকের নাম একই হওয়ার ফলেই যাবতীয় বিড়ম্বনা। অ্যাকাউন্ট খোলার পরেই রুরাইয়ের বাসিন্দা হুকুম সিং হরিয়ানায় চলে যান উপার্জন করতে। সেখানে রোজগার করে নিজের অ্যাকাউন্টে টাকা জমাতেন তিনি। আর রোনী গ্রামের বাসিন্দা হুকুম সিং ব্যাংকে গিয়ে সেই টাকা নিজের মনে করে তুলে নিতেন! টানা ছয় মাস এমনটাই ঘটেছে। এতোদিনে এক হুকুম সিংয়ের অ্যাকাউন্টে জমা করা ৮৯ হাজার রুপি তুলে নেন আরেক হুকুম সিং। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় এক লাখ পাঁচ হাজার ১৭৪ টাকা। ইতোমধ্যেই টাকা জমানো হুকুম সিং জমি কিনবেন বলে ঠিক করেন। ১৬ অক্টোবর জমি কেনার জন্য যখন তিনি টাকা তুলতে ব্যাংকে যান তখনই এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তিনি দেখেন যে, তার অ্যাকাউন্টে মাত্র ৩৫ হাজার ৪০০ টাকা রয়েছে। কিন্তু তার দাবি, ওই অ্যাকাউন্টে ১ লাখ ৪০ হাজার রুপি জমা করেছিলেন তিনি। কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানালেও ব্যাংকের কর্মকর্তারা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে জানান ওই টাকার প্রকৃত মালিক। ব্যাংক ম্যানেজার রাজেশ সোনকর হুকুম সিংকে বলেন, এই টাকা যার অ্যাকাউন্ট তিনিই পাবেন। কিন্তু বাস্তবে টাকা হস্তান্তর হলো একই নামের অন্য ব্যক্তির কাছে! তবে সেই টাকা যিনি উত্তোলন করেছেন সেই হুকুম সিং স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আমার ব্যাংকের খাতা ছিল। ওই অ্যাকাউন্টে অর্থও আসে। আমি তো ভেবেছি মোদি পাঠাচ্ছেন। তাই তুলে নিয়েছি। আমাদের কাছে টাকা-পয়সা ছিল না, ফলে তুলতেই হতো। বাড়িতে কাজ করেছি এবং এই টাকা দিয়েই তা হয়েছে।’

Share.