ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে ৬ দিনে তিনটি ট্রেন লাইনচ্যুত, কাজ করছে তদন্ত দল

0

ঢাকা অফিস: ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে গত ৬ দিনে তিনটি ট্রেন লাইনচ্যুত হয়েছে। একের পর ট্রেনের লাইনচ্যুতির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যাত্রীরা। এসব ঘটনা তদন্তে ঢাকা থেকে ময়মনমসিংহে এসেছেন তদন্ত দল। ধারণা করা হচ্ছে, সিগন্যালের ভুলের কারণে এসব ঘটনা ঘটেছে। ময়মনসিংহ রেলস্টেশনের সুপারিনটেনডেন্ট জহুরুল হক জানান, ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম রুটে তিনটি ট্রেনের লাইনচ্যুতির ঘটনা তদন্তে মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাতে রেলওয়ের প্রধান কার্যালয় থেকে এডিশনাল চিফ সিগনাল অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার তুষার আহমেদ এসেছেন। রাতেই তদন্ত কাজ শুরু করেছেন তিনি। তার সঙ্গে আছেন ময়মনসিংহ সিগন্যাল বিভাগের ইনচার্জ সারোয়ার জাহানসহ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তিনি আরও জানান, সিগন্যাল বিভাগের কিছু ত্রুটির কারণেই এই লাইনচ্যুতির ঘটনাগুলো ঘটছে। লাইনচ্যুতির কারণে ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয়সহ যাত্রীরাদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ময়মনসিংহ রেলওয়ে সিগন্যাল বিভাগের ইনচার্জ এসএসইএ সারোয়ার জাহান, সিগন্যাল ট্র্যাপ পয়েন্টে কাজ করা হলেও কিছু ত্রুটি থাকা সত্ত্বেও স্টেশন সার্ভারে লাইন চালু দেখানোর পরই লাইন দেওয়া হয়। এসব বিষয় খতিয়ে দেখতে এবং কেন সিগন্যালে সমস্যা হচ্ছে তা দেখার জন্যই ঢাকা থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসেছেন। তদন্তের পরই জানা যাবে কেন সিগন্যালের ট্র্যাপ পয়েন্টে সমস্যা হচ্ছে। জেলা নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন কালাম জানান, একের পর লাইনচ্যুতির ঘটনায় যাত্রীদের মাঝে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এবিষয়ে রেলের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব দেওয়াসহ দায়ীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২০ জানুয়ারি) বিকালে শম্ভুগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ময়মনসিংগহামী লোকাল ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনের দু’টি চাকা লাইনচ্যুত হয়। ১৭ জানুয়ারি গৌরীপুরে মালবাহী ট্রেনের বগি লাইনচ্যুত হয় এবং ১৫ জানুয়ারি একই এলাকা গৌরীপুর স্টেশনের কাছে চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের দু’টি বগি লাইনচ্যুত হয়।

Share.