যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হতে চায় না ইরান

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ট্রাম্পের আমলে ইরানের সঙ্গে করা পরমাণু চক্তি থেকে বেরিয়ে আসে যুক্তরাষ্ট্র। এরপর বাইডেন ক্ষমতা নিয়েই ইরানসহ অন্যান্য বিশ্ব শক্তিগুলোর মধ্যে ২০১৫ সালের ওই চুক্তিতে ফেরার ঘোষণা দেন।চুক্তিতে ফেরার ক্ষেত্রে বাইযেন শর্ত জুড়ে দেন, ইরানকে আগে চুক্তির নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে। তা শুনে তেহরানও পাল্টা শর্ত আরোপ করে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করলেই কেবল তারা তা মেনে চলবে।তারপর থেকে প্রায় আড়াই মাস দেশ দুটির মধ্যে এভাবে পাল্টাপাল্টি শর্তারোপ চলছে। এ প্রেক্ষাপটে এ চুক্তিতে ফিরে আসা নিয়ে আলোচনা করতে আগামী সপ্তাহে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় যাওয়ার কথা রয়েছে ওয়াশিংটন ও তেহরানের প্রতিনিধিদের।জানা গেছে তেহরানকে সেখানে ‘সরাসরি’ আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মুখোমুখি আলোচনায় বসার প্রস্তাব নাকচ করে দিয়ে ইরান বলেছে, এর প্রয়োজন নেই। পরিকল্পনা অনুযায়ী, দুই দেশ একই শহরে একই বিষয়ে আলোচনা করলেও একই কক্ষে বসবেন না।এক বিবৃতিতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানায়, ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিরা ওইদিন একই শহরে অবস্থান করলেও তাদের এক কক্ষে সাক্ষাৎ হবে না। আগামী সপ্তাহে ভিয়েনায় আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার ও পরমাণু চুক্তিকে সচল করার ব্যাপারে আলোচনা করবেন বলেও জানানো হয়।এদিকে চুক্তিতে থাকা বাকি দেশ ইরান, চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ব্রিটেন গত শুক্রবার এক বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠক শেষে ইরানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি বলেন, ভিয়েনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেবেন না তেহরানের প্রতিনিধিরা।

Share.