যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসে মাঙ্কিপক্সে প্রথম মৃত্যু

0

 ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলসের একটি কাউন্টিতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে প্রথম এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে জানায়, গতকাল সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) এই ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম কোনো ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ভ্যান্ডারবিল্ট ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারের সংক্রামক রোগ বিভাগের অধ্যাপক উইলিয়াম শ্যাফনার ই-মেইলে সিএনএনকে জানান, মাঙ্কিপক্সের জীবাণু শরীরে প্রবেশের পর ওই ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা সেটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। উল্টো সেটি আরও কয়েক গুণ বেড়ে যায়। সম্ভবত শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতঙ্গে এটি ছড়িয়ে গেলে এবং সেগুলোর কার্যক্ষমতাকে দুর্বল করে ফেললে, তার ঠিকমতো কাজ করেনি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কাউন্টির স্বাস্থ্য বিভাগ ও যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) মাঙ্কিপক্সে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিতের পাশাপাশি ওই ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধক্ষমতা দুর্বল বলে জানায়। তবে মৃত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেনি তারা। গত মাসে টেক্সাসের হ্যারিস কাউন্টিতে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত একজনের মৃত্যু হয়। তবে তার মৃত্যু মাঙ্কিপক্সের কারণে হয়েছে কি না, সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সিডিসির তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ১২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে সম্ভাব্য ও নিশ্চিত ২২ হাজার মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানা গেছে। সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ৩০০ রোগী শনাক্ত হয়েছেন ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যে। মার্কিন সংস্থাটির দেওয়া তথ্য মতে, বিশ্বে এখন পর্যন্ত মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ৫৮ হাজার রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ১৮ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে, তবে এই ১৮ জনের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে মৃত ওই ব্যক্তিকে ধরা হয়নি। গত আগস্ট মাসে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র। জনস্বাস্থ্যে জরুরি অবস্থা ঘোষণার ফলে দেশটিতে মাঙ্কিপক্স মোকাবিলায় অতিরিক্ত তহবিলের পাশাপাশি সরঞ্জাম সরবরাহের পথ সুগম হবে বলে আশা করা হয়। এর আগের মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মাঙ্কিপক্সকে ‘আন্তর্জাতিক উদ্বেগের জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা’ ঘোষণা করে। এটি সংস্থাটির সর্বোচ্চ সতর্কতার মাত্রা ছিল। মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে জ্বর, ব্যথা, ত্বকে পুঁজ-ভরা ফুসকুড়ির মতো উপসর্গ দেখা যায়। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি দুই তেকে চার সপ্তাহের মধ্যে সেরে ওঠে। ঘনিষ্ঠ শারীরিক সংস্পর্শে এ রোগ ছড়ায়। এ রোগে মৃত্যুর হার খুবই কম।

Share.