ডেস্ক রিপোর্ট: একাধিক মার্কিন রাজ্যে গত কয়েকদিন ধরে রেকর্ড পরিমাণ করোনাভাইরাস সংক্রমণ হয়েছে। একইসঙ্গে হাসপাতালে রোগী ভর্তি হওয়ার হারও অতীতের সকল রেকর্ড ছাড়িয়েছে। রোববার পর্যন্ত আলাবামায় টানা চতুর্থ দিনের মতো রেকর্ড সংখ্যক রোগী শনাক্ত হয়েছে। অন্যদিকে আলাস্কা, আরিজোনা, আরকানসাস, ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, নর্থ ক্যারোলিনা, ওকলাহোমা ও সাউথ ক্যারোলিনায় রোববার পর্যন্ত টানা তিনদিন রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ হয়েছে। নিজস্ব জরিপের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।খবরে বলা হয়, অনেক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সামপ্রতিক এই সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য মে মাসে মেমোরিয়াল ডে’তে আয়োজিত সমাবেশ ও জমায়েতকে দায়ী করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রে করোনা সংক্রমণের প্রাথমিক পর্যায়ের অন্যতম হটসপট ছিল লুজিয়ানা। সমপ্রতি সেখানে সংক্রমণ ফের বাড়ছে। রোববার রাজ্যটিতে ১ হাজার ২০০ জন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে।২১শে মে’র পর এটাই রাজ্যটিতে সর্বোচ্চ সংক্রমণের সংখ্যা।এদিকে, শনিবার পুরো যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হয়েছে ২৫ হাজারের বেশি করোনা আক্রান্ত। ২রা মে’র এই প্রথম কোনো শনিবারে এত সংখ্যক করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। এর পেছনে পরীক্ষার হার বৃদ্ধির ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি করছেন অনেকে। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা জানান, কিছু রাজ্যে সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর হারও দ্রুতগতিতে বেড়ে চলেছে। আরকানসাস, নর্থ ক্যারোলিনা, টেক্সাস ও উটাহ রাজ্যে শনিবার রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী ভর্তি হয়েছেন। সাউথ ক্যারোলিনার ৬৯ শতাংশ থেকে ৭৭ শতাংশ হাসপাতাল বেড ইতিমধ্যে দখল হয়ে গেছে। উটাহ রাজ্যের গভর্নর গত সপ্তাহে এক ঘোষণায় জানান, রাজ্যের বেশির ভাগ কাউন্টিই লকডাউন তুলে নেয়া থেকে বিরত থাকবে। তবে বেশির ভাগ রাজ্যই তেমনটা করবে না। বাজেট ঘাটতি ও বেকারত্বের হার বৃদ্ধি পাওয়ায় দ্বিতীয়বার অর্থনীতি অচল করে দেয়া অনেক রাজ্যের জন্যই কঠিন হবে। কিছু রাজ্য ইতিমধ্যেই সরকারি নির্দেশনা লঙ্ঘন করে সব খুলে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় সবচেয়ে ক্ষতির শিকার হয়েছে নিউ ইয়র্ক। রাজ্য কর্তৃপক্ষ কঠোরভাবে সরকারি নির্দেশনা প্রণয়ন করেছে। সরকারি নীতিমালা মেনেই ব্যবসা খুলছে। সেখানে ইতিমধ্যে সংক্রমণ, মৃত্যু, হাসপাতালে রোগী ভর্তির হার কমতে শুরু করেছে। তবে রাজ্যের গভর্নর অ্যান্ড্রিও কিয়োমো রোববার সতর্ক করেছেন, নিউ ইয়র্ক সিটি ও লং আইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ যদি বড় ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ না করে তাহলে শহর দুটি ফের ঝুঁকিতে পড়বে। তিনি আরো জানান, সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখা ও অন্যান্য জরুরি নির্দেশনা না মানা নিয়ে ২৫ হাজারের বেশি অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। এর বেশির ভাগই এসেছে লং আইল্যান্ডের ম্যানহাটন ও দ্য হ্যামপটনস থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা দ্বিতীয় দফায় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন। এমতাবস্থায় জনগণকে মাস্ক পরতে ও জমায়েত না করতে জোরালো আহ্বান জানাচ্ছে কর্তৃপক্ষরা। এদিকে, সকল পরিস্থিতি বিবেচনা সত্ত্বেও ওকলাহোমায় একটি অন্দর সমাবেশ আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ডজনখানেক রাজ্যে রেকর্ড সংক্রমণ, হাসপাতালে রেকর্ড ভর্তি
0
Share.