যুদ্ধ জাহাজ এখন বাংলাদেশেই তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী

0

ঢাকা অফিস: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডে  নতুন ১০টি নৌযান যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে কোস্টগার্ড আরও একধাপ এগিয়ে গেল। বিভিন্ন জলযান ও যুদ্ধ জাহাজ এখন বাংলাদেশেই তৈরি করা সম্ভব হচ্ছে।  রোববার (১৫ নভেম্বর) গণভবন থেকে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের নতুন ১০টি নৌযানের কমিশন দেন শেখ হাসিনা।   বাংলাদেশ কোস্টগার্ডে যুক্ত হওয়া ১০টি নৌযানের মধ্যে পাঁচটি দেশের নারায়ণগঞ্জ ডক ইয়ার্ড ও খুলনা শিপ ইয়ার্ডে তৈরি করা হয়েছে। কমিশন হওয়া নৌযানগুলো হলো- দু’টি অফশোর প্যাট্রোল ভেসেল (ওপিভি) বিসিজিএস মনসুর আলী ও বিসিজিএস কামরুজ্জামান, পাঁচটি ইনশোর প্যাট্রোল ভেসেল (আইপিভি) বিসিজিএস সবুজ বাংলা, বিসিজিএস শ্যামল বাংলা, বিসিজিএস সোনার বাংলা, বিসিজিএস অপারেজয় বাংলা ও বিসিজিএস স্বাধীন বাংলা, দু’টি ফাস্ট প্যাট্রোল বোট (এফপিভি) বিসিজিএস সোনাদিয়া ও বিসিজিএস কুতুবদিয়া এবং বিসিজি বেইজ ভোলা।   প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড সৃষ্টির পেছনে মজার ঘটনা আছে। আমরা তখন বিরোধী দলে ছিলাম। উপকূলীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য আমরা সিদ্ধান্ত প্রস্তাব করেছিলাম। বিএনপি তখন আপত্তি জানিয়েছিল। এক পর্যায়ে আমরা দেখলাম বিরোধী দলে থাকলেও সংসদে আমাদের উপস্থিতি বেশি ছিল। যখন এটা নিয়ে ডিবেট হয়, বিএনপি নাকচ করে দিতে চেয়েছিল। আমরা ডিভিশন ভোট দাবি করেছিলাম। স্পিকার বাধ্য হলেন ভোটে দিতে। আমাদের সংখ্যা বেশি হওয়ায় আমাদের প্রস্তাব পাশ হয়। বিরোধী দলে থেকে কোনো প্রস্তাব পাস করানো বিরল ঘটনা। এই ইতিহাস সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৯৪ সালে।  আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না এলে সমুদ্রসীমার ওপর যে আমাদের অধিকার আছে সেটি কখনই প্রতিষ্ঠিত হতো না। আমরা এখন যে সমুদ্রসীমা পেয়েছি সেই সমুদ্র সম্পদ অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়েছি। শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ৯৬ সালে সরকারে আসার পর থেকেই কোস্টগার্ডের অবকাঠামোগত উন্নয়নে কাজ করি। ২০০৯ সাল থেকে আমরা আরও ব্যাপকভাবে উন্নয়নে কাজ করি। ২৭টি কোস্টাল ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট সেন্টারসহ ৫৫টি অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। গত ১২ বছরে কোস্টগার্ডের জন্য বিভিন্ন আকারে ৫৫টি জাহাজ ও জলযান নির্মাণ করা হয়েছে। নিজস্ব প্রশিক্ষণ বেস নির্মাণ করা হয়েছে। আমরা আমাদের কোস্টগার্ডকে আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে চাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সমুদ্র সম্পদকে জাতীয় অর্থনীতির উন্নয়নে কাজে লাগানোর সুযোগ পেয়েছি আমরা। বঙ্গোপসাগর আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখান থেকে অনেক ব্যবসা বাণিজ্য চলাচল করে। এছাড়া যারা উপকূলীয় অঞ্চলে আছেন তাদের অর্থনৈতিক উন্নতি আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তারা অবহেলিত। সবার কথা মাথায় রেখে সমুদ্র সম্পদকে অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজে লাগাতে চাই।  কমিশনিং অনুষ্ঠানে গণভবন ছাড়াও চট্টগ্রামের পতেঙ্গার কোস্টগার্ড বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।

Share.