যেকোনো পরিণতির দায় যুক্তরাষ্ট্রের: জাতিসংঘকে ইরান

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী বা আইআরজিসির কুদস ফোর্সের কমান্ডার লেঃ জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যার যেকোনো পরিণতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী থাকতে হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাভেদ জারিফ। শুক্রবার রাতে তিনি জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে তাকে এমন কথা জানান। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আইআরজিসির কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে ‘সন্ত্রাসী হামলা’ চালিয়ে হত্যা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জাভেদ জারিফ আরও বলেন, ইরাক ও সিরিয়ায় সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধে সোলেইমানির উল্লেখযোগ্য ভূমিকার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের জনগণের মধ্যে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। কাজেই তার হত্যাকাণ্ডের এমন পরিণতি হতে পারে যা কারো পক্ষে কল্পনা করা সম্ভব নয়। তবে যে পরিণতিই হোক তার পুরো দায়ভার ঘাতক যুক্তরাষ্ট্রকে বহন করতে হবে বলে মন্তব্য করেন জারিফ। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের পর মধ্যপ্রাচ্যে সৃষ্ট নয়া উত্তেজনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতিসংঘ মহাসচিব সব পক্ষকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দেন। তবে তিনি এই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানাননি। সোলেইমানি হত্যার পর প্রতিশোধের হুংকার ছেড়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি বলেছেন, ‘বিশ্বের কুচক্রি ও শয়তান রাষ্ট্রগুলোর বিরুদ্ধে অনেক বছর ধরে একনিষ্ঠ ও বীরোচিত জিহাদ চালিয়ে গেছেন সোলেইমানি। যে অপরাধীরা তাদের নোংরা হাত দিয়ে গতরাতে জেনারেল সোলেইমানির রক্ত ঝরিয়েছে তাদের জন্য ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।’ শুক্রবার ভোররাতে ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে বিমান হামলা চালিয়ে জেনারেল সোলাইমানিকে হত্যা করে সন্ত্রাসী ও দখলদার মার্কিন সেনারা। ওই হামলায় ইরাকের জনপ্রিয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হাশদ আশ-শাবি’র উপ প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস’সহ মোট ১০ জন শহীদ হন। শুক্রবার বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় সোলেইমানি নিহত হন। তিনি ছিলেন খামেনির সবচেয়ে আস্থাভাজন জেনারেলদের একজন। ১৯৯৮ সালে দায়িত্ব পাওয়ার পর তার কৌশলে লেবাননের হিজবুল্লাহ, সিরিয়ার বাশার আল-আসাদ বাহিনী এবং ইরাকের শিয়াপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জোরদার সম্পর্ক গড়ে ওঠে ইরানের। ইরাকের সশস্ত্র শিয়া মিলিশিয়া গোষ্ঠী পপুলার মোবিলাইজেশন ফোর্সেস (পিএমএফ) এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় তাদের বাহিনীর উপপ্রধান আবু মাহদি আল মুহাদ্দিসও শহীদ হয়েছেন। মুহাদ্দিস ছিলেন জেনারেল সোলেইমানির বিশ্বস্ত এবং তার উপদেষ্টা। হামলার সময় দুজন একই গাড়িতে ছিলেন।

Share.