শুক্রবার, এপ্রিল ২৬

রংপুর মহানগর আ.লীগের বর্ধিত সভায় সংঘর্ষে আহত-১০

0

ঢাকা অফিস: রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শনিবার (২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত সভায় মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা প্রকৌশলী শাহাদতকে জামায়াত-শিবির আখ্যা দেওয়া হলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টার দিকে নগরীর বেতপট্টিস্থ কার্যালয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা শুরু হয়। সভায় ৩৩টি ওয়ার্ডের সভাপতি সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভার প্রধান অতিথি জাহাঙ্গীর কবির নানক ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের কাছে দলের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। এ সময় কয়েকজন নেতা অভিযোগ করেন দলে বেশ কয়েকজন জামায়াত-শিবির নেতা অনুপ্রবেশ করেছেন। নানক অনুপ্রবেশকারীদের নাম জানতে চান। এসময় রংপুর সিটি করপোরেশনের ২৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান ছাত্রশিবির করতেন এবং তার শ্বশুর শাহআকমল এখনও জামায়াতের রংপুর মহানগরীর একজন নেতা বলে জানান অভিযোগকারীরা। একথা শোনার পরপরই নানক মিজানকে দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষণা দেন। এছাড়া মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা প্রকৌশলী শাহাদতকে জামায়াত শিবির বলে কয়েকজন চিহ্নিত করার চেষ্টা করলে শাহাদত এর তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগ থেকে রাজনীতি শুরু করেছি। কোনোদিন জামায়াত-শিবির করিনি। অথচ মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমার সম্মানহানি করা হচ্ছে।’ দু’পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা চলতে থাকা অবস্থায় মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা সভাস্থলে প্রবেশ করেন। তারা শাহাদত হোসেনের অনুসারী। তাদের সঙ্গে অভিযোগকারীদের হাতাহাতি ও মারামারি শুরু হয়। পরে নানক ও রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হকের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। তবে সভা শেষে নেতারা চলে যাওয়ার পর বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মহানগর নেতাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এ ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) নুরুন নবী জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এসময় নেতাকর্মীদের মারামারিতে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নানক। তিনি বলেন, ‘যারা এই সভায় গোলমাল করলো তারা আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগ হতে পারে না। আওয়ামী লীগের শত্রু হচ্ছে আওয়ামী লীগ। এই দল ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিএনপি-জামায়াত আমাদের লোম স্পর্শ করতে পারবে না।’ আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। তিনি ছাত্রলীগ দিয়ে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন। নিজ হাতে ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক নির্বাচিত করে অভিযোগ পাওয়ার পর ঝেটিয়ে বিদায় করেছেন। আমি নানক না থাকলেও আওয়ামী লীগ চলবে। এই দলে কোনও নেতাই অত্যাবশ্যক নয়। শেখ হাসিনা সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, করবেন।’

Share.