ঢাকা অফিস: তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ডিউটিরত এক পুলিশ কনস্টেবল হুমায়ন কবির নামে এক শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসে মারধর করেছে। এ ঘটনায় নগরীর মতিহার থানা ওই পুলিশ কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে এ ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগী হুমায়ন কবির নাহিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের ২০১৫-১৬ সেশনের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। অপরদিকে মারধরকারী পুলিশ কনস্টেবলের নাম মো. নাদিম। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, নাহিদ সন্ধ্যায় বাইক নিয়ে বিনোদপুর গেট দিয়ে প্রবেশ করলে বাইকের কাগজপত্র দেখাতে বলে মতিহার জোনের সহকারী কমিশনার মাসুদ রানা। নাহিদ বাইকের কাগজপত্র না দেখিয়ে নিজেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী বলে পরিচয় দেন। কিন্তু পুলিশ কাগজপত্র ছাড়া প্রবেশ করতে দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। এক পর্যায়ে নাহিদ বাইকের কাগজপত্র দেখালেও সেখানে তার বড় ভাইয়ের নাম উল্লেখ ছিল। পরে নাহিদকে থানায় তুলে নিয়ে যাওয়ার অর্ডার করেন মতিহার জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মাসুদ রানা। সে সময়ে নাহিদ বাইকে জোর করে বসে থাকেন ও তাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে নাহিদকে পুলিশ কনস্টেবল মো. নাদিম মারধর করে থানায় নিয়ে যায়। মারধরের বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বিনোদপুর গেটে জড়ো হয় এবং সেখানে দায়িত্বরত অন্য পুলিশদের আটকে রাখে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য নাহিদকে থানা থেকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ও সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ রুনু মতিহার জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মাসুদ রানা ও মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন। পরে পুলিশের সহকারী কমিশনার মাসুদ রানা নাহিদের কাছে এ ঘটনার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মতিহার থানার (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝি থেকে একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে। অভিযুক্ত কনস্টেবলকে মতিহার থানা থেকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, পুলিশ ঘটনাটি জানানোর পরেই আমি সেখানে দুইজন সহকারী প্রক্টর পাঠিয়েছিলাম
রাবি শিক্ষার্থীকে মারধর, পুলিশ কনস্টেবল প্রত্যাহার
0
Share.