রিয়ার সঙ্গে বহু নামীদামি ব্যক্তির ঘনিষ্ঠতা

0

বিনোদন ডেস্ক: দ্বিতীয় বারও জামিনের আবেদন না মঞ্জুর হওয়ায় নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি রিয়া চক্রবর্তী। আদালতে কেঁদে ফেলেন তিনি।  রিয়া চক্রবর্তীকে রাখা হয়েছে বাইকুল্লা জেলে, সেখানেই রিয়াকে জানানো হয় আদালতের রায়ের কথা। রিয়া এ কথা শোনার পরই কাঁদতে শুরু করেন। দ্বিতীয়বারও জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়া অভিনেত্রীর মনোবলের ক্ষেত্রেও একটা বড় ধাক্কা বলা যায়। তবে হার মানতে নারাজ রিয়া ও সৌভিক চক্রবর্তীর আইজীবী সতীশ মানশিন্ডে। তিনি জানিয়েছেন, আমরা এনডিপিএস বিশেষ আদালতের নির্দেশনামা হাতে পেলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত নেব। জানা গেছে, সেশন কোর্ট রিয়া ও সৌভিকের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়ার পর বোম্বে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। তবে রিয়ার বিরুদ্ধে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো যে যে ধারায় মামলা দায়ের করেছে, তাতে রিয়ার জামিন পাওয়া কঠিন বলেই মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এনডিপিএস আইন অনুসারে ২৭এ, ২১, ২২, ২৮ ও ২৯ ধারায় মামলা দায়ের করেছে এনসিবি। অভিযোগ প্রমাণিত হলে হতে পারে ১০ বছরের জেল। এর আগে মুম্বইয়ের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত রিয়া চক্রবর্তীকে ১৪  দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেয় এবং তার জামিনের আবেদনও খারিজ করে দিয়েছিলেন। তারপরেই সেশন কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সতীশ মানশিন্ডে।  আদালতে রিয়া বলেছিলেন, জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে তার থেকে। কিন্তু শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরোর পক্ষে পরিষ্কার জানিয়ে দেওয়া হয় জিজ্ঞাসাবাদের সময় রিয়া স্বেচ্ছায় নিজের দোষ স্বীকার করেছেন। সে সময় এনসিবির হেফাজতে ছিলেন না রিয়া। তাই কোনোভাবেই যেন তার জামিনের আবেদন গ্রহণ না করেন আদালত। অন্যদিকে একটি সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, এনসিবির জিজ্ঞাসাবাদের সময় রিয়া মাদক কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যে ২৫ জন বলি সেলেবের নাম উল্লেখ করেছিলেন তাদের খুব শিগগিরই সমন পাঠাচ্ছে এনসিবি। শোনা যাচ্ছে, শুধু অভিনেতাই নন, ওই ২৫ জনের মধ্যে নাম রয়েছে পরিচালক-প্রযোজক থেকে শুরু করে বলিউডের বেশ কিছু নামীদামি ব্যক্তিত্ব। কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বেরিয়ে পড়ার সময় কি আগত? শঙ্কায় বলিউড! অন্যদিকে এনসিবির পক্ষে বলা হয়, সুশান্ত যে ড্রাগ নিত তা জেনেও রিয়া নিষেধ করেননি। উপরন্তু নিজেই এর অংশ হয়ে পড়েছিলেন। ড্রাগ সরবরাহের জন্য রিয়া তার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করেছেন, যা আইনত অপরাধ। পাশপাশি এনসিবির পক্ষে এও বলা হয়, রিয়াকে জামিনে মুক্তি দিলে সে তথ্যপ্রমাণ নষ্ট করে দিতে পারে। একই সঙ্গে সমাজে তার প্রভাব খাটিয়ে এবং অর্থের ক্ষমতা দেখিয়ে প্রত্যক্ষদর্শীদের মন জয় করার চেষ্টা করতে পারে। রিয়ার পক্ষের কৌঁসুলি তার মক্কেলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খণ্ডনোর চেষ্টা করলেও রিয়ার কোনো যুক্তি মানতে চাননি আদালত। গত ১৪ জুন মুম্বাইয়ে বান্দ্রায় নিজ বাসা থেকে সুশান্তের (৩৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তার মৃত্যু নিয়ে এখনো তদন্ত চলছে।

Share.