রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি জালিয়াতির অভিযোগ, ইউজিসির হস্তক্ষেপ চাইলেন শিক্ষকরা

0

ঢাকা অফিস: রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত না করেই ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়েছে। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) হস্তক্ষেপ চেয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষকরা। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর ডাকযোগে পাঠানো এক আবেদনে ঘটনার তদন্তে ইউজিসির পক্ষ থেকে জালিয়াতির ঘটনার তদন্তের দাবি জানানো হয়। শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম সুমন ইউজিসির কাছে আবেদন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত আবেদনে বলা হয়েছে, দুটি ইউনিটে ফেল করার পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় মিশকাতুল জান্নাত নামের এক পরীক্ষার্থী প্রথম স্থান অধিকার করেন। উক্ত শিক্ষার্থী এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষকের ছোটবোন। বিভিন্ন গণমাধ্যমেও বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। লিখিত আবেদনে আরও বলা হয়, এমন ঘটনায় জালিয়াতির অভিযোগ তুলে শিক্ষকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত রেখে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান। যাতে করে আরও কোনও জালিয়াতির ঘটনা থাকলে তা বেরিয়ে আসে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে মতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কর্তৃপক্ষ কেবল ওই শিক্ষার্থীর ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিতে শিক্ষানবিশ এক শিক্ষককে সদস্যসচিব করা হয়। এ ঘটনায় বিদ্যমান তদন্ত কমিটির পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য, সাংবিধানিক পদধারী পদস্থ কর্মকর্তা কিংবা প্রখ্যাত শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর আবেদন করেছিলেন ‘সচেতন শিক্ষকবৃন্দ’। তবে উপাচার্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। লিখিত আবেদনে বলা হয় ‘আমারা আশঙ্কা করছি যদি অন্যায় সংঘটিত হয়ে থাকে তাহলে শুধু একজনের ক্ষেত্রে না ঘটে তা অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে।’ আবেদনে স্বাক্ষর করেছেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক গাজী মাযহারুল আনোয়ার, সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম সুমন, সাবেক সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ, নীল দলের সাধারণ সম্পাদক আসাদ মন্ডল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক বেলাল উদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদের সভাপতি কমলেশ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান প্রমুখ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. তুহিন ওয়াদুদ বলেন, ‘আমরা মনে করি, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন এ বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করবে। কারণ, ভর্তি পরীক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর প্রতিকার বিশ্ববিদ্যালয়ে না হলে, নিশ্চয়ই দেখভালকারী কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। যদি তাদের মাধ্যমেও সুষ্ঠু সমাধান না পাই, তাহলে আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় সমাধান খুঁজবো।’

উল্লেখ্য, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের অর্নাস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় ‘এ’ ও ‘এফ’ ইউনিটে ফেল করেও ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে ইংরেজী বিভাগের প্রভাষক ইমরানা বারীর ছোট বোন মিশকাতুল জান্নাত।

Share.