লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে চলতে অনুরোধ করলেন তথ্যমন্ত্রী

0

ঢাকা অফিস: দেশবাসীকে লকডাউনের বিধিনিষেধ মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। একইসঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদেরকে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে সীমিত পরিসরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ অনুরোধ ও আহ্বান জানান।মন্ত্রী বলেন, ‘জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার স্বার্থে,  এই করোনার হাত থেকে রক্ষা করতে সরকার লডকডাউন ঘোষণা করেছে। তাই দেশবাসীকে বিনীতভাবে অনুরোধ জানাই— নিজের, পরিবারের এবং দেশের স্বার্থে সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে, তা পালন করার জন্য।’‘করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট অনেক বেশি শক্তিশালী, সংক্রামক।  লকডাউনের বিধিনিষেধের ব্যত্যয় হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে’, এ কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. হাছান বলেন, ‘সরকার এই লকডাউন কখনও প্রলম্বিত করতে চায় না। কিন্তু জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্যই এ ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। দীর্ঘদিন লকডাউন সমাধান বলেও আমরা মনে করি না। সবাই যদি স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে চলেন, তাহলে আমাদের পক্ষে করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে।’করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে দলটির অন্যতম এ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লকডাউন চলাকালে খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান।  তিনি বলেন,  ‘প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার আহ্বানে সাড়া দিয়ে আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সবসময় জনগণের পাশে ছিল, আছে। অতীতের মতো এখনও খেটে খাওয়া মানুষেরর পাশে থাকার জন্য তাদের আহ্বান জানাই।’বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির দু’জন নির্বাহী সদস্যের পদত্যাগের বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল আলমগীর কয়েকদিন আগে ‘পলায়ন’ সম্পর্কে একটি কথা বলেছিলেন। এখন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সবাই আস্তে আস্তে পালাচ্ছেন। বিএনপি যে পলায়নপর তার প্রমাণ হচ্ছে এই দু’জনের পদত্যাগ।’তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দেশে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অব্যাহত আছে এব সংসদীয় গণতন্ত্র রক্ষা পেয়েছে।’ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘জাফরুল্লাহ সাহেব বিএনপির সামান্য সমোলোচনা করায় জাতীয় প্রেসক্লাবে তার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা যেভাবে তেড়ে গেল, এতেই প্রমাণ হয়, বিএনপির নিজেদের মধ্যেই গণতান্ত্রিক চর্চা নেই।’

Share.