ডেস্ক রিপোর্ট: শাসনকালের অধিকাংশ সময়টা তিনি কাটিয়েছিলেন এই প্রাসাদে।ব্রিটেনের রানির সরকারি বাসভবন ছিল লন্ডনের বাকিংহাম প্রাসাদ। বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাতে স্কটল্যান্ড থেকে সেই বাকিংহামে ফিরে ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের কফিন। তবে শেষবারের মতো নিজের সরকারি বাসভবনও ‘ছেড়ে গেলেন’ রানি। গন্তব্য, ওয়েস্টমিনস্টার হল। এসময় তার কফিন শেষ বারের জন্য দেখতে টেমসের তীরে দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। বিকেল ৫টার দিকে থেকে ব্রিটেনবাসীর জন্য খুলে দেওয়া হয় ওয়েস্টমিনস্টার হলের দরজা। আগামী সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত সেখানেই কফিনে শায়িত থাকবেন রানি। বাকিংহাম ছেড়ে রানির কফিন যখন যাত্রা শুরু করে তখন হাইড পার্কে তোপধ্বনি শুরু হয়। ওয়েস্টমিনস্টার হলে কফিন পৌঁছনো পর্যন্ত রানিকে শ্রদ্ধা জানাতে প্রতি এক মিনিট অন্তর বেজে উঠেছে বিগ বেন। ড্রামের হাল্কা আওয়াজ আর ঘোড়ার পায়ের শব্দের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রানির কফিনের সঙ্গে একসঙ্গে আবার হাঁটলেন তার চার সন্তান। পিছনে পিছনে হেঁটেছেন রাজা তৃতীয় চার্লসের দুই ছেলে উইলিয়াম ও হ্যারি। সঙ্গে ছিলেন পরিচিত লাল পোশাক আর কালো টুপি পরা বাকিংহামের রাজরক্ষীরা। রানির কফিন ঢাকা ছিল লাল-হলুদ রয়্যাল স্ট্যান্টার্ড পতাকায়। তার ওপরে উজ্জ্বল বেগুনি কুশনের ওপরে রাখা ছিল তার মুকুটটি। উইনসর প্রাসাদের বাছাই করা ফুল দিয়ে বানানো স্তবকও ছিল কফিনের ওপরে। লিজ় ট্রাস সরকার আগাম জানিয়ে রাখে, ওয়েস্টমিনস্টার হলে পৌঁছাতে লেগে যেতে পারে অনেক সময়। হয়তো এক এক জনের জন্য ৩০ ঘণ্টা সময়ও লাগতে পারে। তাই সঙ্গে হাল্কা খাবার ও পানীয় রাখার পরামর্শ দিয়ে রাখে সরকার। তবে হলে ঢোকার আগে শেষ করে ফেলতে হবে সেগুলো। রাস্তায় দর্শনার্থীদের সাহায্যে করতে মোতায়েন করা হয় অসংখ্য পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী।
লন্ডনে টেমসের তীরে রানির কফিন দেখতে উপচেপড়া ভিড়
0
Share.