লাঠি হাতে নিজেই কেন্দ্র দখলে নেমেছিলেন বিজয়ী কাউন্সিলর আনোয়ার

0

ঢাকা অফিস:  সকাল  আটটা থেকেই সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ চলছিলো টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার কুতুবপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে। ভোটারদের দীর্ঘ লাইনও ছিলো সেখানে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিচ্ছিলেন নারী ও পুরুষ ভোটাররা। বেলা পৌনে ১২টায় হঠাৎ করেই পাল্টে যায় দৃশ্যপট।নিজের অবস্থা শোচনীয় দেখে জাল ভোট দিতে যান কাউন্সিলর প্রার্থী আনোয়ার হোসেনের লোকজন। বাধা দেয় অপর কাউন্সিলর প্রার্থী জাহিদুল ইসলামের সমর্থকরা। আর তাতেই বাধে বিপত্তি। শুরু হয় সংঘর্ষ। লাঠি হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন সদ্য বিজয়ী কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়।কেটে ফেলা হয় সূচি নামের এক নারীর আঙুল। গুরুতর আহত হন সাতজন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ, র্যা ব ও বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। নিজের (আনোয়ারের) সমর্থক আহত খায়রুল মারা গেছে এমন গুজব রটিয়ে বাকিটা সময় কেন্দ্র নিজেদের দখলে রাখেন তিনি। এদিকে ফলাফল ঘোষণা শেষে বিজয়ী হওয়ার পর আরেক খেলায় মেতে উঠেন আনোয়ার হোসেন। তিনিসহ হিংস্র হয়ে উঠেন তার সমর্থকরা। শুরু হয় প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী জাহিদুল ইসলামের সমর্থকদের বাড়িতে হামলা। দফায় দফায় চালানো হয় হামলা। ভাংচুর ও কোপানো হয় কমপক্ষে ১৫টি বাড়ি। আতঙ্কে পুরুষশূণ্য হয়ে পড়েছে পুরো এলাকা। বিরাজ করছে থমথমে পরিস্থিতি।সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে অধিকাংশ ঘরেই ঝুলছে তালা। কিছু কিছু বাড়িতে নারী ও ছোট ছোট ছেলে-মেয়ে ছাড়া তেমন কোন ও লোক চোখে পড়েনি। সদ্য বিজয়ী কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেন ও পরাজিত প্রার্থী জাহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের এলাকায় পাওয়া যায়নি।হামলা ও ভাংচুরের বিষয়ে ভূঞাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ওই এলাকায় নিয়মিত পুলিশ টহল দিচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ কোনও অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Share.