লোকসানের শঙ্কায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম ব্যবসায়ীরা

0

ঢাকা অফিস: দেশজুড়ে দূরপাল্লায় চলাচলে শিথিলতা আসায় এ বছর আমের ভালো ব্যবসা নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছিলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের ব্যবসায়ীরা। কিন্তু জেলার করোনা পরিস্থিতির চরম অবনতিতে স্থানীয় প্রশাসন মঙ্গলবার (২৫ মে) থেকে এক সপ্তাহের বিশেষ লকডাউন দেওয়ায় আবারো বড় ধরনের লোকসানের শঙ্কা ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর।তবে জেলা প্রশাসন বলছে, আমের বাজারজাত নিশ্চিতে সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মঙ্গলবার (২৫ মে) সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের বাগানগুলোতে দোল খাচ্ছে পরিপক্ব বাহারি জাতের আম। চলতি মাসের শেষেই ৩৪ হাজার হেক্টরের বাগান থেকে নামতে শুরু করবে গোপালভোগ, হিমসাগরের মতো জনপ্রিয় জাতের আম। ইতোমধ্যে ব্যবসায়ীরা আমের বিপণনে আড়ত ঘর তৈরিসহ নিয়েছেন নানা প্রস্তুতি।তবে জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৫০ ভাগের বেশি হওয়ায় মঙ্গলবার থেকে প্রশাসনের ৭ দিনের বিশেষ লকডাউনের ঘোষণায় আমের বেচাকেনা নিয়ে উদ্বেগে ব্যবসায়ীরা।আম বিক্রেতারা বলছেন, সরকার লকডাউন দেওয়ায় তাদের বিপাকে পড়তে হয়েছে। জেলায় পরিবহন বন্ধ থাকায় আম পাঠাতে পারছেন না বলেও জানান তারা। চলতি মৌসুমে তীব্র খরায় গুটিতেই ঝরেছে ৩০ শতাংশ আম। এখন বিশেষ লকডাউনে আমের সঠিক বিপণন ব্যবস্থা করতে না পারলে মৌসুমের হাজার কোটি টাকার ব্যবসা নিয়ে শঙ্কায় চেম্বার অব কমার্স ও আম ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা।বাংলাদেশ ম্যাঙ্গো প্রডিউসার মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াহেদ বলেন, এ বছর যদি আম চাষিরা ক্ষতির মধ্যে পড়ে তাহলে ভবিষ্যতে আম ব্যবসায়ী ও চাষিরা আম চাষের ওপরে আস্থা হারিয়ে ফেলবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক এম. কোরাইশী মিলু বলেন, আমগুলো যদি সঠিকভাবে পৌঁছতে না পারে তাহলে ভবিষ্যতে আম চাষিরা হতাশাগ্রস্ত হবেন। তবে জেলা প্রশাসক জানান, ট্রেন-ট্রাক ও কুরিয়ারে আম বাজারজাতের উদ্যোগ নেওয়া হবে।এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. মঞ্জুরুল হাফিজ বলেন, আম পরিবহনের সঙ্গে জড়িত গ্রামে গঞ্জে যেসকল ভ্যান আছে ওইগুলো চলতে পারবে। আম পাড়ার সঙ্গে যারা জড়িত তারা বাগানে কাজ করতে পারবে। আম পরিবহনে স্বাভাবিক নিয়মে যা যা আছে সবই চলবে। চলতি মৌসুমে জেলায় পৌনে তিন লাখ মেট্রিক টন আমের উৎপাদন হবে বলে আশা কৃষি বিভাগের। যার বাজার মূল্য প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা।

Share.