শিগগিরই শ্রমবাজারে সুদিন আসবে: প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী

0

ঢাকা অফিস: প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, করোনাভাইরাস ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার কারণে বিশ্বব্যাপী শ্রমবাজার হুমকির সম্মুখীন। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ বাংলাদেশের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তারপরও আমরা আশাবাদী। আমরা জানি রাতের পর দিন আসে এবং ওই দিনটা খুব শিগগিরই আসবে।স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সংসদ অধিবেশনে কার্যপ্রণালী বিধির ৩০০ বিধিতে বিবৃতি প্রদানকালে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা দক্ষ শ্রমশক্তি প্রস্তুত রাখতে নানামুখী পদক্ষেপ নিয়েছি। যাতে অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এবং বাজার খোলার সাথে সাথে ওদেরকে বিদেশে পাঠাতে পারি। এই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। যদি কোভিড-১৯ পরবর্তী বাজারের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে পারি, তাহলে আমাদের বৈদেশিক প্রবাসী আয় প্রবাহ অব্যাহত থাকবে। শ্রমবাজার নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নানা ধরনের সংবাদ পরিবেশন হওয়ায় এই সম্পর্কিত বিভ্রান্তি দূর করতে এবং শ্রমবাজারের সর্বশেষ তথ্য তুলে ধরতে তিনি এই বিবৃতি দেন। শ্রমবাজারের সর্বশেষ পরিসংখ্যান তুলে ধরে শ্রমমন্ত্রী বলেন, বিগত বছরগুলোর হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ থেকে প্রায় প্রতি মাসে ৬০ হাজার কর্মী বিদেশে গিয়েছেন। ২০১৯ সালের জানুয়ারি হতে আগস্ট মাস পর্যন্ত ৪ লাখ ৬০ হাজার কর্মী বিদেশে গিয়েছেন। কিন্তু ২০২০ সালের জানুয়ারি হতে আগস্ট পর্যন্ত মাত্র ১ লাখ ৭০ হাজার কর্মী বিদেশে গেছে। এর কারণ এ বছর এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত কোনো কর্মী বিদেশে যেতে পারেননি বললেই চলে। অন্যদিকে করোনার কারণে বিভিন্ন দেশের অভিবাসন সেক্টরের টাকা অনিয়মিত হওয়ায় নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কারণে আমাদের কর্মীদের একটি ক্ষুদ্র অংশ দেশে ফিরে এসেছে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের হার তুলে ধরে মন্ত্রী আরো বলেন, অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি রাজস্ব। ২০১৮-২০১৯ সালে রেমিটেন্স ছিল ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০১৯-২০২০ সালে রেমিটেন্স ছিল ১৮ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলার। যা বিগত বছরের তুলনায় ১১ শতাংশ বেশি। কিন্তু ২০২০-২০২১ সালে জুলাই-আগস্ট মাসে রেমিটেন্স এসেছে ৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বেশি। রেমিটেন্স পাঠানোর ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়ায় এই প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে।

Share.