শুরু হচ্ছে জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন

0

ঢাকা অফিস: সারাদেশে একযোগে শুরু হচ্ছে পক্ষকালব্যাপী জাতীয় ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনের কার্যক্রম চলবে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। এই কর্মসূচির আওতায় ২ কোটি ২০ লাখ শিশু ভিটামিন-এ ক্যাপসুল পাবে। এই সময়ে নির্ধারিত টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে পর্যায়ক্রমে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের একটি নীল রঙের এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের একটি লাল রঙের উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দুপুরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি। স্বাস্থ্যসেবায় জাতির পিতার নানা অবদানের কথা তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রেস ব্রিফিং এ আরো বলেন, ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনটি প্রথম শুরু করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন দেশে রাতকানা রোগের হার ছিল ৪.১ শতাংশ। এরপর বঙ্গবন্ধু এই রোগ নির্মূলে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার ক্ষমতায় এসেই রাতকানা রোগ নির্মূলে নানা উদ্যোগ বাস্তবায়ন শুরু করেন। এখন দেশে রাতকানা রোগের হার ১ শতাংশেরও নিচে নেমে গেছে। একটি পরিবারেও যেন অন্ধ কোন শিশু না থাকে সে লক্ষ্যেই সরকার কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের উদ্যোগগুলো সফল হলে নিকট ভবিষ্যতেই দেশে আর কোন রাতকানা রোগী থাকবে না। এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর এই ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন পালন করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২৬ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে আগামী ৪ অক্টোবর থেকে শুরু হচ্ছে পক্ষকালব্যাপী ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইন চলবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। এই সময়ে দেশের নির্ধারিত ইপিআই কেন্দ্র সমূহে পর্যায়ক্রমে ৬-১১ মাস বয়সী শিশুদের ১টি নীল রঙের ১ লাখ আই ইউ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী শিশুদের ১টি করে লাল রঙের ২ লাখ আই ইউ উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর পাশাপাশি ওই সময়ে পুষ্টি বিষয়ক বিভিন্ন বার্তা জনগণের মাঝে প্রচার করা হবে। কভিড-১৯ মহামারীজনিত কারণে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক এ বিষয়ে ইতোমধ্যেই সকল সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধে এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে দিবসটির গুরুত্ব অপরিসীম। উল্লিখিত ৪ অক্টোবর থেকে ১৭ অক্টোবরের মধ্যে ভিটামিন-এ এর গুরুত্ব তুলে ধরে জনমনে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য নিজ নিজ দপ্তর থেকে প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহ।

Share.