সমাবেশ করে প্রকাশ্যে মুসলিম হ’ত্যার হুমকি, নীরব প্রশাসন

0

ডেস্ক রিপোর্ট:  গত মে মাসে ভারতের হরিয়ানাতে একজন মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্তদের খালাস দেয়ার দাবিতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একের পর এক জনসমাবেশ আয়োজিত হচ্ছে।কিছুদিন আগেই এমন একটি সমাবেশে মুসলমানদের হত্যার হুমকি দেয়া একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়। তবু আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।যিনি জনসমাবেশে মুসলমান হত্যার ডাক দিয়েছেন তিনি আর কেউ নন, রাজপুতদের সংগঠন কার্নি সেনার এক শীর্ষ নেতা। তিনি নিজেই হত্যার হুমকির ভিডিওটি নিজের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছেন। ওই কট্টর হিন্দু নেতা সুরজ পাল আমু বিজেপিরও নানা পদে আছেন।সুরজ পাল আমু জনসমাবেশে বলেন, ‘আমাদের (হিন্দু) ছেলেদের কোনো দোষ নেই। তারা (মুসলিম) আমাদের মা-বোনের ছবি বিকৃত করে। আমরা কেন তাদের হত্যা করব না?’এর আগে গত ১৬ই মে রাতে ওষুধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে একদল উগ্রপন্থী হিন্দুর দল নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করে আসিফ খান নামে এক মুসলিম যুবককে। আসিফের চাচাতো ভাই রাশিদের সামনেই এই বর্বরতা চালায় তারা।রাশিদ জানান, আসিফকে মারতে মারতে তারা (উগ্রপন্থীরা) বলছিল, “মোল্লা, তোদের কাউকেই বাঁচতে দেব না।” তারা আরও বলে, “তোদের সবাইকে জয় শ্রী রাম বলিয়েই ছাড়ব।” তারা আসিফকে গাড়ি থেকে টেনে-হিচড়ে বের করে পেটাতে পেটাতে মেরে ফেলে বলেও জানান রাশিদ।ওই ঘটনার মূল দোষী রোহিত, প্রদীপ ও অমিতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আর তাদের হয়েই সমাবেশ করে সাফাই গাইছেন উগ্রপন্থী সুরজ পাল আমু।জেলায় জেলায় সমাবেশ করে মুসলিমদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ ছড়ানো এবং হিন্দুদের উস্কানি দেয়াই এসব সমাবেশের উদ্দেশ্য হলেও কট্টর বিজেপি সরকারের প্রশাসন কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না। তাদের এমন কর্মকাণ্ডে বর্তমানে মহাপঞ্চায়েতগুলো থেকে ক্রমাগত হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন বলে মুসলিমদের অভিযোগ।

Share.