সরকার সুপরিকল্পিতভাবে ঢাকায় গণপরিবহণে আগুন দিয়েছে: ফখরুল

0

ঢাকা অফিস: সরকার নিজেদের ব্যর্থতা, দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট ও ভোট ডাকাতির নির্বাচন আড়ালের উদ্দেশ্যে জনগণের দৃষ্টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সুপরিকল্পিতভাবে ঢাকায় গণপরিবহনে আগুন দিয়েছে। বললেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ।  আজ মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে দলটির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসিচব এসব কথা বলেন। তিনি বলেন,  এখন বাসে আগুন লাগানোর ঘটনার দায়-দায়িত্ব বিএনপির ওপর চাপানো হয়েছে। মামলা দায়েরের মাধ্যমে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের সহস্রাধিক নেতাকর্মীকে হয়রানি ও গ্রেপ্তার করছে। গ্রেপ্তারের নামে বাসাবাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসবাবপত্র ভাংচুরসহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে অশালীন ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে। বিবৃতিতে মহাসিচব বলেন, সরকারের এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী যখন নিন্দা ও ধিক্কারের ঝড় উঠেছে, তখন সরকার স্বভাবসুলভভাবে মিথ্যাচার ও নাটক সাজিয়ে আবারও জনগণকে আবারও বিভ্রান্ত করতে চাইছে। সরকার বলছে, সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মামলা হয়েছে অথচ একটি মামলার বাদী হিসেবে যাকে দেখানো হয়েছে তিনি নিজেই অস্বীকার করেছেন যে, তিনি মামলা দায়ের করেননি।’  মির্জা ফখরুল বলেন, ভুয়া বাদীর সেই মামলায় বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি করা হচ্ছে। অন্যদিকে করোনাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশে-বিদেশে হাসপাতালে বা বাসায় দীর্ঘদিন থেকে চিকিৎসাধীন, কোয়ারেন্টিন কিংবা আইসোলেশনে থাকা এমনকি দুই বছর যাবত পঙ্গুত্ব বরণকারী নেতাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বসবাসকারী নেতাকর্মীদের এই মিথ্যা অভিযোগে আসামি করা হয়েছে।  তিনি বলেন, সরকারের ভাষ্য অনুযাযী সিসিটিভি ফুটেজ অনুযায়ীই যদি আসামি করা হয়ে থাকে, তাহলে প্রশ্ন-বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়সহ অসুস্থ, আহত, চিকিৎসাধীন কিংবা ঢাকার বাইরে ও বিদেশে অবস্থানরত নেতাকর্মীদেরকে মামলায় আসামি করা হলো কিসের ভিত্তিতে? প্রকৃত অর্থে এই মামলাগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বানোয়াট তা সুনিশ্চিত। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতেই ফ্যাসিবাদী সরকারের এই অপতৎপরতা।’  বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে বিএনপি নেতাকর্মীদের হয়রানি বন্ধ এবং গ্রেপ্তার নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

Share.