সরকার হট অ্যান্ড কোল্ড পলিসিতে সড়ক আইন নিয়ে এগোচ্ছে: কাদের

0

ঢাকা অফিস: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সড়ক পরিবহন আইন নিয়ে সরকার হট অ্যান্ড কোল্ড পলিসিতে এগোচ্ছে। শ্রমিকদের দাবিগুলো যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে। সবাই দলের নয়। এখানে নানামুখী বিষয় আছে, নানা মেরুকরণ কাজ করেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা করে যে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন, তা ভালো হয়েছে।’ আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) সচিবালয়ে সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে সমসাময়িক বিষয়ে আলাপকালে তিনি এই কথা বলেন। সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, সড়ক পরিবহন আইন পাস করার পরও কেন কার্যকর করা যাচ্ছে না, বারবার কেন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলেই মালিক-শ্রমিকদের নিয়ে বসেন। তাদের দাবিগুলো যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে। চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত আমার পক্ষে কিছুই করা সম্ভব নয়। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও এ বিষয় নিয়ে কথা বলবো। যতক্ষণ পর্যন্ত সহনীয় থাকা যায় দেখবো। ট্রাক লরি বন্ধ থাকলে সেটা কী ভালো হতো? সহনীয় পর্যায়ে রাখতে তাদের সময় দেওয়া হচ্ছে। আশা করছি সব সমস্যার সমাধান আলাপ আলোচনার মাধ্যমেই সম্ভব হবে।’ পরিবহন মালিক শ্রমিকদের কাছে সরকার জিম্মি কিনা, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সরকার কারও কাছেই জিম্মি নয়। মিডিয়ার রোল সরকার ও আইনের পক্ষে থাকলেও এক সপ্তাহ পর (ধর্মঘট চলতে থাকলে) আর তা থাকতো না। এজন্য আমরা হট অ্যান্ড কোল্ড পলিসি নিয়ে এগোচ্ছি।’ শ্রমিকদের সরকার যে ছয় মাসের সময় দিয়েছে এর মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন, নতুন লাইসেন্স দেওয়া বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘বিআরটিএ (বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ) ওভারটাইম কাজ করছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় অধিক জনবল দেওয়ার জন্য কাজ করছে। ভারী যানবাহন চালানোর মতো প্রশিক্ষিত চালক তৈরির কাজ চলছে। চালক তৈরির কাজ আমরা আরও প্রসারিত করেছি।’ ছাত্রদের দাবির মুখেই এটি করা হয়েছে কিনা প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ছাত্রদের জন্যই নয়, তিন বছর আগে থেকেই এই আইন তৈরির কাজ চলছে।’ শ্রমিকদের দাবির মুখে এখনই সড়ক পরিবহন আইনে কোনও পরিবর্তন আনা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এই আইনে পরিবর্তন হয়নি। আইন পরিবর্তন করতে হলে সংসদের অনুমোদন লাগবে। বাস্তবতার স্বার্থে আইনের কিছু বিষয়ে শৈথিল্য দেখানো হচ্ছে। দাবি দাওয়া যাচাই বাছাই করার আগে আইন পরিবর্তন করা হবে কি হবে না, সে বিষয়ে আমি কিছুই বলবো না।’ তিনি বলেন, ‘চালের সংকট নাই, মজুত আছে। ৮২ হাজার টন পেঁয়াজ এসেছে। অচিরেই দাম কমে যাবে। সরকার বসে নেই। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার কাজ করছে। দেশের জনগণের স্বার্থের বাইরে যাওয়ার কারও সুযোগ নেই।’ ভারতের নাগরিক তালিকা (এনআরসি) বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কোনও টানাপড়েন নাই। এনআরসি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নাই বলে তারা আমাদের আশ্বস্ত করেছে। আমরা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছি। তবে বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় এলে উদ্বিগ্ন তো হতেই হবে।’

Share.