সাত দশমিক তিন মাত্রার ইন্দোনেশিয়ায় শক্তিশালী ভূমিকম্প,কাঁপল অস্ট্রেলিয়াও

0

ডেস্ক রিপোর্ট: সাত দশমিক তিন মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপল দক্ষিণ পূর্ব-এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়া। বৃহস্পতিবার ভোরে পূর্বাঞ্চলীয় মালাকু প্রদেশের বরত দায়া দ্বীপপুঞ্জে এ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ভূমিকম্পের পরপরই উৎপত্তিস্থল মালাকু প্রদেশের বরত দায়া দ্বীপপুঞ্জে জারি করা হয় হাই অ্যালার্ট। তবে আশপাশের দ্বীপগুলোয় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি। ভূমিকম্পের প্রভাব পড়েছে সাগরপাড়ের প্রতিবেশী দেশ অস্ট্রেলিয়াতেও। জিওসায়েন্স অস্ট্রেলিয়া জানায়, ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল দিলির প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে এবং বান্দা সাগরে ইন্দোনেশিয়ার মালুকু দ্বীপের ৫০ কিলোমিটার পূর্বে। বৃহস্পতিবার ভোর চারটার দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। দেশটির বিভিন্ন জায়গায় ছয় মাত্রার কম্পন অনুভূত হয়। ভূমিকম্পে অস্ট্রেলিয়ার উইন্ডসরের চ্যাপেল স্ট্রিটের একটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দ্যা গার্ডিয়ান। এছাড়াও ডারউইনে কয়েক মিনিট ধরে কম্পন অনুভূত হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী মাইকেল গানারসহ স্থানীয় অনেকেই জেগে উঠেছিলেন। ‘ডারউইন ভূমিকম্প! পবিত্র মলি, এটি একটি শক্তিশালী ছিল!’ সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনটাই জানিয়েছেন অলিম্পিক সোনাজয়ী নোভা পেরিস। ‘এখন ডারউইনের জন্য যথেষ্ট ঘুম। কী একটা ভয়ানক ভূমিকম্প! অনেক দূরে, কিন্তু কাঁপুনি এক মিনিটেরও বেশি স্থায়ী হয়েছিল।’ কার্ল লিজন্ডারস নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন। গত ১৪ ডিসেম্বর একই মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল ইন্দোনেশিয়ার পূর্বাঞ্চলে। সেসময় সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়। তবে তখন কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপে ২০০৪ সালে ৯ দশমিক ১ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাতের পর সুনামি আছড়ে পড়ে। এতে প্রায় দুই লাখ ২০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। যা ছিল দেশটির ইতিহাসে ভূমিকম্পে সর্বোচ্চ প্রাণহানির ঘটনা। ইন্দোনেশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’ এ অবস্থানের কারণে ঘন ঘন ভূমিকম্পের সম্মুখীন হয়। জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকা জুড়ে বিস্তৃত এ এলাকায় টেকটোনিক প্লেটগুলির বেশি সংঘর্ষ হয়।

Share.