সাত মাস পর পর্যটকদের জন্য খুলছে সুন্দরবন

0

ঢাকা অফিস: মহামারি করোনা সংকটের কারণে দীর্ঘ সাত মাস বন্ধ থাকার পর বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন উন্মুক্ত করতে যাচ্ছে বন বিভাগ। কর্তৃপক্ষ বলছেন, আসন্ন নভেম্বরের শুরুতেই পর্যটকরা প্রবেশ করতে পারবেন সুন্দরবনের পর্যটন স্পটগুলোতে। এদিকে, সবুজ সংকেত পেয়ে আগে থেকেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছেন ট্যুর অপারেটররা। তাদের অনেকেই এরই মধ্যে সুন্দরবন ভ্রমণের প্রি-বুকিংও শুরু করে দিয়েছেন। সুন্দরবন বন বিভাগ সূত্র জানায়, গত ১৯ অক্টোবর বন ও পরিবেশ বিষয়ক সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় সুন্দরবনকে পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার পক্ষে আলোচনা হয়। সভায় আসন্ন পর্যটন মৌসুমকে সামনে রেখে সুন্দরবনকে উন্মুক্ত করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে আগামী দু-একদিনের মধ্যে পর্যটকদের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশের দ্বার খুলে দেওয়ার জন্য সুন্দরবন রেঞ্জ ও বিভাগীয় পর্যায়ে নির্দেশনা আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে গত ১৯ মার্চ থেকে পুরো সুন্দরবনে পর্যটকদের যাতায়াত ও নৌযান চলাচল সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করে বন বিভাগ। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পূর্ব ও পশ্চিম সুন্দরবনজুড়ে এ নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার নির্দেশনা দেয়।বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন।  বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, পর্যটন মৌসুমে (নভেম্বর থেকে মার্চ) সুন্দরবনের নয়টি পর্যটন এলাকায় দিনে ৪৫ হাজারেরও বেশি ভ্রমণকারী অবস্থান করে থাকে। ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের সভাপতি মো. মঈনুল ইসলাম জমাদ্দার বলেন, ‘পর্যটন মৌসুমকে সামনে রেখে এরই মধ্যে সুন্দরবন ভ্রমণের বুকিং নেওয়া শুরু হয়েছে। তবে ভ্রমণের জন্য অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হবে। সে জন্য জাহাজে পর্যটক সংখ্যাও কমিয়ে দেওয়া হবে।’সুন্দরবন (পশ্চিম) বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. আবু নাসের বলেন, ‘এ সংক্রান্ত কোনো নির্দেশনা এখনো আমাদের কাছে আসেনি। তবে, গত ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী দু-একদিনের মধ্যে এ বিষয়ে জানা যেতে পারে।’এ ব্যাপারে বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার বলেন, ‘সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বনবিভাগকেও মৌখিকভাবে বলা হয়েছে। দু-একদিনের মধ্যেই সুন্দরবনে পর্যটক প্রবেশের অনুমতি সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বন বিভাগ। এ ছাড়া ট্যুর অপারেটরদেরও প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে।’তবে, করোনা পরিস্থিতির বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এক জাহাজে ৫০ জনের বেশি না যাওয়া এবং শারীরিক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ ট্যুর অপারেটর ও পর্যটকদের সব স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে।- যোগ করেন তিনি।

Share.