বাংলাদেশ থেকে ফরিদপুর প্রতিনিধি: ফরিদপুরের সালথায় মাঝারদিয়া ইউনিয়নে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১৫বছর বসয়ী এক মাদ্রাসা ছাত্রী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের সময় ধর্ষককে ধরে আটকে রাখা হলেও স্থানীয় মাতব্বরা ওই কিশোরীর সাথে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তিতে ধর্ষকের পরিবার বিয়ের বিষয়টি মেনে না নিলে গত বুধবার ওই কিশোরীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ওই কিশোরীর পরিবার। ঘটনাটি সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নে ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী স্থানীয় একটি দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। ওই কিশোরীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, গত ১২জুন রবিবার রাতে ঘরের মধ্যে একা পেয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা আব্বাস মোল্যা (২৪) ঘরে ঢুকে তার মেয়েকে ধর্ষণকরে। ধর্ষণের সময় মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তারা ঘরে ঢুকে ওই ছেলেকে আটক করে। পরে ওই রাতেই স্থানীয় মাতব্বররা সালিশ বৈঠক বসিয়ে ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে আব্বাস মোল্যাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। গত বুধবার মাতব্বররা এসে তাকে বলেন, মিমাংসা সিদ্ধান্ত মানছেনা ছেলের পরিবার। আপনার যা ইচ্ছা তাই করেন। পরে আমি বাধ্য হয়ে আমার মেয়েকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ফরিদপুরে ভর্তি করি। আব্বাস মোল্লা সিঙ্গাপুর থাকে। কিছুদিন আগে সে দেশে আসেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মূলত প্রেমের ফাঁদে ফেলেই ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়। ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘটনাটি মাতব্বরা মিমাংসা করে দিতে চাইলে ছেলেপক্ষ এখন তা মানছেন না। যে কারণে ঘটনাটি এখন জানাজানি হয়েছে। ইউপি সদস্য কবির হোসেন বলেন, ঘটনাটি ঘটার পর স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়া হয়। এতে ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ছেলে ও তার পরিবার বিয়েতে রাজি আছেন। তবে মেয়েটির বয়স কম হওয়ায় এখনই বিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রাপ্তবয়স হলে বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ সাদিক বলেন, ওই কিশোরীর পরিবার এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। তাদের থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে।
সালথায় মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষককে ছাড়িয়ে নেয় মাতব্বরা
0
Share.