সিলেট-সুনামগঞ্জে ভয়াবহ বন্যা, উদ্ধারসহ সার্বিক সহযোগিতায় নেমেছে সেনাবাহিনী

0

বিশেষ প্রতিনিধি: সিলেট ও সুনামগঞ্জে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বন্যা পরিস্থিতি। এর মধ্যে সুনামগঞ্জ শহরের অবস্থা সব চেয়ে বেশি খারাপ। রাস্তাঘাট ডুবে যাওযায় কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জ। অফিস আদালত, বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সিলেট ও সুনামগঞ্জের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। সব চেয়ে বেশি খারাপ অবস্থা সুনামগঞ্জ । এখানে অফিস আদালত, বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ পুরো শহর বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বন্যায় সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের গোবিন্দগঞ্জ-দিঘলী এলাকা প্লাবিত হয়ে সারাদেশের সঙ্গে সুনামগঞ্জের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে আন্তঃজেলা যোগাযোগ ব্যবস্থাও। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। কার্যত এখানকার লোকজন এখন গৃহবন্দি। আকস্মিক বন্যায় সিলেট নগরের উপশহর, সোবহানীঘাট, মেন্দিবাগ, মুরাদপুর এবং নদী তীরবর্তী এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তাই গ্রাহকদের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে জরুরি সতর্কবার্তা দিয়েছে সিলেট বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ। আর সিলেটে পর্যাপ্ত নৌকা ও উদ্ধারকর্মী না থাকায় পানিতে আটকেপড়া মানুষ উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের হাতে পর্যাপ্ত নৌকা ও উদ্ধার সরঞ্জামাদি না থাকায় জেলা প্রশাসক সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছেন শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারসহ সার্বিক সহযোগিতা চেয়ে ১৭ পদাতিক ডিভিশন সিলেটের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন। জানা গেছে, দুই জেলার অন্তত ১৫ উপজেলা বন্যা কবলিত। সিলেটের পাঁচ লক্ষাধিক লোক পানিবন্দি। সিলেট শহরের আনাচকানাচেও পানি। সুনামগঞ্জের সঙ্গে সারাদেশের সড়ক পথের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন রয়েছে বলে সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানিয়েছেন। তিনি জানান, বন্যার পানিতে সুনামগঞ্জ-সিলেট সড়কের ছাতক উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-দিঘলী এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই পানিবন্দি মানুষকে উদ্ধারসহ সার্বিক সহযোগিতা করে যাচ্ছে সেনাবাহিনীর

Share.