সিনহা হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৩ জন গ্রেপ্তার

0
বাংলাদেশ থেকে কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি:  মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে ৩ জনকে গ্রেপ্তার।
গত ৩১ জুলাই মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ পাহাড় বিস্তৃত পাদদেশ দিয়ে মেরিন ড্রাইভে ওঠার প্রক্কালে সিনহা ও তার সহকর্মীদেরকে ডাকাত বলে আওয়াজ তুলে চিৎকার করেছিলো, গ্রেপ্তার হওয়া এ তিন ব্যক্তি পুলিশের দায়ের করা ২টি মামলায় এজাহার ভুক্ত স্বাক্ষী হিসেবে দেখিয়েছিল।
কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ আজ (১১ আগস্ট) দুপুরে বাহারছড়া এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করেন। গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন হলেন, বাহারছড়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোঃ আয়াছ। গ্রেপ্তারের পর তাদেরকে কক্সবাজার আদালতে নেয়া হচ্ছে। আদালতে তোলার পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করেছে র‌্যাব। এদিকে, নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মোঃ আয়াছের সঙ্গে টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশের কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কি না তাও খতিয়ে দেখছে র‌্যাব। গত ৩ জুলাই ভ্রমণবিষয়ক তথ্যচিত্র ধারণের কাজে কক্সবাজার যান সিনহা রাশেদ।  এরপর ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশী চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খান। তখন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ধামাচাপা দিতে উল্টো মামলা করেছিলো পুলিশ। পরে ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরদিন ৬ আগস্ট বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশের মামলায় গ্রেফতার হওয়া সিফাত ও শিপ্রার জামিন গত দুদিনে মঞ্জুর করেন বিজ্ঞ আদালত। তবে আজ এক সাক্ষাৎকারে  মেজর (অব.) সিনহা রাশেদ খানের সহকর্মীরা বর্তমানে সুস্থ্য আছেন তাদের পরিবারের সাথে। তারা দেশবাসীর ভালবাসার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তবে মেজর সিনহার বোনের দায়ের করা ৯/২০২০ মামলায় এ তিনজনের নাম নেই। তবে জড়িত  সন্দেহে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ মেজর মেহেদী খান।
Share.