সুন্দরবনের শান্তিময় পরিস্থিতি যেকোনো মূল্যে ধরে রাখবো: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

0

ঢাকা অফিস: সুন্দরবনে যে শান্তিময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যেকোনো মূল্যে তা ধরে রাখার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন,এখনো যারা সুন্দরবনে দস্যুতা করার জন্য চেষ্টা করছেন তারা সাবধান হোন। আমরা কাউকে ছাড় দেবো না। সুন্দরবনে যে শান্তিময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে যেকোনো মূল্যে তা ধরে রাখবো। শুক্রবার বাংলাদেশ সময় দুপুরে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণার বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিয়ে যারা বিপথগামী পথ থেকে ফিরে এসেছেন তাদের প্রতি আমাদের সু-দৃষ্টি রয়েছে। তাদের স্বাভাবিক জীবন-যাপনের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ সময় মন্ত্রী র‍্যাবের তালিকা অনুযায়ী আত্মসমর্পণকারী দস্যুদের মামলা থেকে মুক্তি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে যাদের নামে ধর্ষণ ও হত্যা মামলা রয়েছে সেগুলো আইন অনুযায়ী বিচার হবে এবং নিজেদেরই পরিচালনা করতে হবে বলেও জানান তিনি। এর আগে বাংলাদেশ সসকাল ১০টায় হেলিকপ্টারে করে বাগেরহাটে পৌঁছান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের আয়োজনে বাগেরহাট শেখ হেলাল উদ্দিন স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি শামসুল হক টুকু (এমপি), স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা (এমপি), বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ তন্ময়, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য গ্লোরিয়া ঝর্ণা সরকার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, র্যাবের মহাপরিচালক ড. বেনজির আহমেদ, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ড. মাইনুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ। এসময় বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার (এসপি) পঙ্কজ চন্দ্র রায়, প্রেসক্লাবের সভাপতি আহাদ উদ্দিন হায়দার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বাকি তালুকদারসহ জেলার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। র‍্যাব মহাপরিচালক ড. বেনজির আহমেদ বলেন, আমরা বনদস্যুদের যে সহযোগিতা করেছি, তা যদি তারা মামলা মোকদ্দমার পেছনে খরচ করে তাহলে তারা অসহায় হয়ে যাবে। পরবর্তীতে আমরা জানতে পেরেছি, অনেক দস্যুর বিরুদ্ধে বন আইনে কনভিকশন রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীসহ সবার কাছে অনুরোধ করবো তারা যেন এসব মামলার কনভিকশন থেকে দস্যুদের মুক্তি দেয়। আত্মসমর্পণকরা দস্যুরা যদি এখন জেল খাটে তাহলে তাদের পরিবার অসহায় হয়ে পড়বে। তাই বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা ও পটুয়াখালীর জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারদের আত্মসমর্পণকরা বনদস্যুদের দেখে রাখার অনুরোধ জানান তিনি। ২০১৮ সালের এই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেছিলেন। এক বছর পরে একইদিনে বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করণে যারা ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের সম্মাননা দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করণের র্যাবের ভূমিকা ও দস্যুদের আত্মসমর্পণের উপর নির্মিত চলচ্চিত্র ‘আপরেশন সুন্দরবন’ এর ডিজিটাল লোগো ও মোড়ক উন্মোচন করেন মন্ত্রী। এসময় চলচ্চিত্রের পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতারা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আত্মসমর্পণকরা দস্যুদের উপহার সামগ্রী তুলে দেন।

Share.