বৃহস্পতিবার, ডিসেম্বর ২৬

সুন্দরবনে বাঘ বেড়েছে

0

ঢাকা অফিস: সুন্দরবনে বেড়েছে আটটি বাঘ। সর্বশেষ পরিসংখ্যানে সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ৮৮টি। নতুন পরিসংখ্যানে তা বেড়ে  হয়েছে ৯৬টি। তবে বাঘ বৃদ্ধির এ সুখবরটি হলো সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে। সম্প্রতি প্রকাশিত বাঘ গণনার পরিসংখ্যান থেকে এই তথ্য জানিয়েছে দেশটির বন দফতর। একসঙ্গে আটটি বাঘ বৃদ্ধির ঘটনা সুন্দরবনের ভারতীয় অংশে এই প্রথম। এদিকে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের সর্বশেষ পরিসংখ্যানেও বেড়েছিল আটটি বাঘ। ২০১৮ সালে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে বাঘের সংখ্যা ছিল ১১৪টি। যা ২০১৭ সালে ছিল ১০৬টি। ২০১৯ সালের ২২ মে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশের বন বিভাগ। গত বছর সুন্দরবনের বিভিন্ন এলাকায় ৫৭৮টি ক্যামেরা বসিয়ে বাঘ গণনা শুরু করে ভারতের বন দফতর এবং ব্যাঘ্র প্রকল্প। তাদের এই বাঘ গণনায় সাহায্য করেছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড (ডব্লিউডব্লিউএফ)। সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেশটির সুন্দরবন অংশে বাঘের সংখ্যা ছিল ৮৮টি। নতুন পরিসংখ্যানে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৬টি। সুন্দরবনের বাঘের সংখ্যা প্রতি বছরই বেড়ে চলেছে। আর বাঘের সংখ্যা বাড়ায় আশার আলো দেখছেন ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞরা। দেশটির সুন্দরবন অংশে প্রায় দু’মাস ধরে ক্যামেরা বসিয়ে বাঘের গণনা চলে। বিভিন্ন নদী ও খাঁড়িতে বসানো হয়েছিল এই ক্যামেরা। সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্প এলাকায় যেমন ক্যামেরা বসিয়ে গণনা হয়েছে, তেমনি গণনা করা হয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বন সংলগ্ন এলাকায়। এ বিষয়ে ভারতের বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, সুন্দরবনের বাঘ বাড়ার ঘটনা সত্যিই ইতিবাচক। এই সংখ্যাটা পরবর্তীতে যাতে সেঞ্চুরি অতিক্রম করে তার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সুন্দরবনের বাঘ বাড়ার ঘটনা থেকে বোঝা যায় যে সুন্দরবনের বন্যপ্রাণীরা যথেষ্ট সুরক্ষিত। সুন্দরবনের ৪২০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ৩৭০০ এলাকায় বাঘের বিচরণ ক্ষেত্র আছে। বাঘ বাড়াতে গেলে আগামী দিনে ম্যানগ্রোভ বন বাড়াতে হবে। এ বিষয়ে দেশটির ব্যাঘ্র প্রকল্পের অধিকর্তা ড. সুধীর চন্দ্র দাস বলেন, সুন্দরবনের জঙ্গলে বাঘ বৃদ্ধি পাওয়ার অন্যতম কারণ হলো সুন্দরবন বাঘের উপযুক্ত আবাসস্থল এবং সেখানে বা নিরাপদে আছে এটাই প্রমাণ করে। তাছাড়া প্রতিটি বাঘের ‘হ্যাবিচুয়াল অ্যাকশন’ সেটিও সুন্দরবনে দারুণভাবে কার্যকারী হচ্ছে। দেশটির ব্যাঘ্র বিশেষজ্ঞ জয়দীপ কুণ্ডু বলেন, সুন্দরবনের জঙ্গলে নেট ফেন্সিং দেয়ার কারণে জঙ্গলের বাঘ বাইরে বেরিয়ে আসতে পারে না। এর ফলে বাঘের মৃত্যুর হার যেমন একদিকে কমেছে তেমনই জঙ্গলে যথেষ্ট পরিমাণ খাবারেরও জোগান বেড়েছে। শুধু তাই নয় প্রতিটা নদীতে বা খাঁড়িতে বন দফতরের ই-পেট্রোলিং চালু হওয়ার কারণে বাঘ পাচারকারীও কমেছে।

Share.