সেনাবাহিনী মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিষ্ঠার সঙ্গে দেশের সেবা করবে: প্রধানমন্ত্রী

0

ঢাকা অফিস: বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও জাতির পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে পেশাগত দক্ষতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার সাথে দেশের সেবা করবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কঠোর অনুশীলন, পেশাগত দক্ষতা ও কর্তব্যনিষ্ঠার সমন্বয়ে নেতৃত্বের প্রতি অটুট আস্থা ও পূর্ণ আনুগত্যের সমন্বয়ে আন্তরিকভাবে দেশের সেবা করবে।’ বৃহস্পতিবার সাভার সেনানিবাসের সিএমপি সেন্টার অ্যান্ড স্কুলে আয়োজিত হেড কোয়ার্টার ৭১ মেকানাইজড ব্রিগেড, ১৫ ও ৪০ ইস্ট বেঙ্গল (মেকানাইজড), ৯ ও ১১ বাংলাদেশ ইনফ্যান্ট্রি রেজিমেন্টের (মেকানাইজড) পতাকা উত্তোলন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যোগ দেন শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশ আমাদের। তাই আমরা এই মাতৃভূমিকে এমনভাবে গড়ে তুলব, যাতে বিশ্বের কেউ বাংলাদেশকে অবমূল্যায়ন করতে না পারে। আমরা বিজয়ী জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে হাঁটব।’ এসময় ২০২৩ সালে দুর্ভিক্ষ ও খাদ্য সংকটের যে আশঙ্কা করা হচ্ছে তা এড়াতে দেশের প্রতি ইঞ্চি জমি ব্যবহার, সঞ্চয় এবং আন্তরিকতার সাথে কঠোর পরিশ্রম করার আহ্বানও পুনর্ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আমাদের উচিত প্রতিটি ইঞ্চি জমিকে খাদ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করা, সঞ্চয় করা এবং কঠোরতার অনুশীলন করা। আমি আশা করি সবাই এই অনুশীলনটি গ্রহণ করবে।’ তিনি প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে খাদ্য উৎপাদনের জমিতে চাষাবাদ করার নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘর্ষ এবং নিষেধাজ্ঞার কারণে উন্নত দেশগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কারণ সেখানে খাদ্যের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।’ ‘বাংলাদেশও একই অবস্থানে রয়েছে। সেই ধাক্কা ইতিমধ্যে এখানে পৌঁছেছে। আমরা সেটি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছি,’ । প্রধানমন্ত্রী সকলকে খুব সতর্ক থাকতে বলেছেন, কারণ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলি আশঙ্কা করছে যে ২০২৩ সালে বিশ্বজুড়ে দুর্ভিক্ষ হবে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ পতাকা উত্তোলন করেন। তিনিও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রীয় অভিবাদন দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে মেকানাইজড ব্রিগেড ও রেজিমেন্টের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। এর আগে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ব্রিগেড ও রেজিমেন্টের সদস্যদের দ্বারা প্রদর্শিত একটি সুশৃঙ্খল ও দৃষ্টিনন্দন কুচকাওয়াজ প্রত্যক্ষ করেন।

Share.