সোলাইমানি মৃত্যুর পূর্বে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে বাজে কথা বলছিলেন: ট্রাম্প

0

ডেস্ক রিপোর্ট: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, হত্যার নির্দেশ দেওয়ার পূর্বে ইরানের বিপ্লবী গার্ডস বাহিনীর (আইআরজিসি) কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানি যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কে বাজে কথা বলছিলেন। শুক্রবার রাতে ফ্লোরিডায় নিজের রিসোর্ট মার-এ-লাগোতে রিপাবলিকান দলের দাতাদের উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে একথা দাবি করেছেন ট্রাম্প। ইরাকে বাগদাদে মার্কিন হামলায় সোলাইমানি হত্যার ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যকে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গিয়েছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এখবর জানিয়েছে। মার-এ-লাগোর যে অডিও পাওয়া গেছে তাতে সোলাইমানিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার আগ মুহূর্তের কথা বলেছেন তিনি। ট্রাম্প ওই সময় বলেন, ‘আমাদের এসব বাজে কথা কতুটুক শুনতে হবে? আমাদের কতক্ষণ শুনতে হবে’। অডিওতে সোলাইমানিকে ‘আসন্ন হুমকি’ বলে উল্লেখ করেননি ট্রাম্প। তাকে ‘উল্লেখযোগ্য সন্ত্রাসী যে আমাদের তালিকায় রয়েছে’ বলে উল্লেখ করেছেন। হামলার ধারাবিবরণী শোনার কথাও রিপাবলিকান দাতাদের বলেছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন তাকে বলা হয়েছে, ‘স্যার, তারা একসঙ্গে রয়েছেন। স্যার, তারা আর মাত্র দুই মিনিট ও ১১ সেকেন্ড থাকবেন। কোনও আবেগ নেই। তাদের জীবন আর মাত্র দুই মিনিট ও ১১ সেকেন্ড। তারা গাড়িতে উঠেছে। তারা একটি সমরযানে রয়েছে। স্যার, তাদের জীবন আর মাত্র এক মিনিটের। ত্রিশ সেকেন্ড। দশ, নয়, আট…। এরপর হঠাৎ করে বিস্ফোরণ। স্যার, তারা নিহত। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করছি’। ট্রাম্প তখন বলেন, ‘লোকটা কোথায়? তখন আমি তার কথা শেষবার শুনি’। সিএনএন’র খবরে বলা হয়েছে, ফ্লোরিডায় ট্রাম্প আরও বলেছেন, মিলিশিয়া নেতা আল-মুহান্দিসের মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি কিনলে একটি ফ্রি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারবার মিলিশিয়া নেতাকে ইরাকে হিজবুল্লাহ’র প্রধান বলে উল্লেখ করেছেন। মার-এ-লাগোতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। কিন্তু ওই অনুষ্ঠানের একটি অডিও হাতে পেয়েছে সিএনএন। এই অডিও পাওয়ার পর সংবাদমাধ্যমটির খবরে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের এই মন্তব্য সোলাইমানিকে হত্যার জন্য প্রশাসনের কর্মকর্তারা যে কারণ বলেছেন সেগুলোকে দুর্বল করে দিয়েছে। হোয়াইট হাউস দাবি করেছে, যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থে ও জনগণের জন্য ইরান গুরুতর হুমকি। আর ট্রাম্প নিজেও বলেছিলেন, চারটি দূতাবাসে হামলার হুমকির নেপথ্যে ছিলেন সোলাইমানি।

Share.