ঢাকা অফিস: করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এই সিদ্ধান্ত সরকারের কেন্দ্রীয় পর্যায় থেকে আসবে না বলে জানান তিনি। সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর গত মার্চ মাস থেকে দেশের সবধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। ইতিমধ্যে কওমি মাদ্রাসা খোলার অনুমতি দিয়েছে সরকার। অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আগামী মাসে খোলা হতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেছে। আজকের বৈঠকে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০২০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। এ বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আগে ছয় মাস আগে নির্বাচন করতে হতো। তখন শপথে অনেকদিন অপেক্ষা করতে হয়। আইনটি পাস হলে নির্বাচন তিন মাস আগে হবে। শপথ নেয়ার পর ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দায়িত্ব নেবে। সিটি নির্বাচনে নির্বাচিত প্রতিনিধিরা বছরে তিন মাসের বদলে এক মাস ছুটি পাবেন।’মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বৈঠকে বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন আইনের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। এছাড়াও ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমান এর খসড়া অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। বিনোদনের জন্য (পাঁচ কেজির নিচের ড্রোন) ও রাষ্ট্রীয় ও সামরিক কাজে ড্রোন ব্যবহারে অনুমোদন নিতে হবে না। তবে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহারের জন্য পাঁচ কেজির ওপরে যেকোনো ড্রোন ব্যবহারের জন্য সিভিল এভিয়েশন ও কেপিআই কর্তৃপক্ষের অনুমোদন নিতে হবে বলেও জানান তিনি।
স্কুল-কলেজ খোলার সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়: খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম
0
Share.