স্ত্রীর নিখোঁজ ডায়েরি করেও শেষ রক্ষা হয়নি খুনি স্বামীর

0

ঢাকা অফিস:  গত সোমবার দুপুরে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে উদ্ধার করা চিত্রনায়িকা রাইমা ইসলাম শিমুর বস্তাবন্দি মরদেহ। সেটি দুই টুকরো করে দুটি বস্তায় ভরে রাস্তার পাশে ফেলে রাখা হয়েছিল। এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটান স্বয়ং শিমুর স্বামী খন্দকার শাখাওয়াত আলিম নোবেল। এরপর তিনিই থানায় যান স্ত্রীর নিখোঁজ ডায়েরি করতে।গত সোমবার কেরানীগঞ্জ এলাকায় শিমুর বস্তাবন্দি লাশ দেখার পর স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ গিয়ে বস্তার ভেতর থেকে লাশের খণ্ডিত অংশগুলো উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়। ওই দিন রাতেই শিমুর দাদা শহিদুল ইসলাম খোকন তার মরদেহ শনাক্ত করেন। প্রথম থেকেই সন্দেহের তীর ছিল নায়িকার স্বামী নোবেলের দিকে। এরপর ঘটনার তদন্তে নেমে সোমবার রাতে তাকেই প্রথমে আটক করে ব়্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (ব়্যাব)। পরে তাকে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। একটি গাড়িও জব্দ করা হয়। থানায় পুলিশের জেরার মুখে স্ত্রীকে খুন করার কথা স্বীকার করে নেন নোবেল। জানান তার সঙ্গে ফরহাদ নামে এক বন্ধু ছিল। গ্রেপ্তার করা হয় তাকেও। এ বিষয়ে সে সময় কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক কাজী রমজানুল হক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, নিহত শিমুর গলায় একটি দাগ রয়েছে। শিমুর স্বামী স্বীকার করে যে, তিনিই গলা টিপে হত্যা করেছেন স্ত্রীকে। শনিবার মধ্যরাতে দাম্পত্য কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটান তিনি। এরপর তিনি শিমুর লাশ কেটে বস্তাবন্দি করেন। পরদিন সেই বস্তা গাড়িতে করে সারাদিন ঢাকা শহরে ঘোরেন নোবেল। অবশেষে রাতে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর এলাকার আলীপুর সেতুর নিচে ফেলে আসেন। পরে বাড়ি ফিরে শিমুর বোনকে সঙ্গে নিয়েই রাজধানীর কলাবাগান থানায় স্ত্রীর নিখোঁজ ডায়েরি করেন।

Share.