হাজী সেলিম রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় বীরদর্পে দেশ ছেড়েছেন: রিজভী

0

ঢাকা অফিস:  দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ার পরও হাজী সেলিম আত্মসমর্পণ না করেই রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় বীরদর্পে দেশ ছেড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, তার (হাজী সেলিম) নির্বিঘ্নে বিদেশ পাড়ি দেওয়ার ঘটনায় এটাই প্রমাণিত হয়েছে যে ক্ষমতাসীন দলের নেতা-মন্ত্রীদের কাছে আদালত অসহায়। বুধবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘চারবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে কথিত দুর্নীতির মিথ্যা মামলায় বন্দী রেখে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে ঠেলে দেওয়ার পরও বিদেশে তার চিকিৎসার জন্য অনুমতি দেওয়া হয় না। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের বোর্ড এবং তাঁর পরিবার বারবার আবেদন–নিবেদন করলেও বিনা ভোটের প্রধানমন্ত্রীসহ মন্ত্রী-এমপিদের দেশনেত্রীকে নিয়ে উপহাস–কটাক্ষের ধারাবর্ষণ থেমে নেই।’ ‘যতবার খালেদা জিয়াকে বাইরে পাঠানোর দাবি ওঠেছে, ততবার আওয়ামী লীগের নেতা-মন্ত্রীরা চিৎকার করে বলেছেন, দণ্ডিত আসামির দেশের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই।’ রিজভী বলেন, হাজী সেলিমের জন্য সেই সুযোগ কীভাবে হলো? হাজী সেলিমের আইনজীবীর ভাষ্যমতে, তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণেই বিদেশে গিয়েছেন। নিশিরাতের বিনা ভোটের বিতর্কিত আওয়ামী লীগের একজন এমপি যে সুবিধা পেতে পারেন, সর্বাধিক ভোটে বারবার নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ও স্বাধীনতার ঘোষকের সহধর্মিণী সে সুযোগ পান না।’‘দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ডের পর আদালত হাজী সেলিমকে ৩০ দিনের মধ্যে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন। এত দিনে তাঁর থাকার কথা ছিল কারাগারে, এমপি পদ হারানোর কথা ছিল। কিন্তু তিনি দেশ ছেড়ে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক গেছেন—’ যোগ করেন বিএনপির এই নেতা। হাজী সেলিমের এই বিদেশে চলে যাওয়ার বিষয় নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেন বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, অচিরেই হাজী সেলিম রাষ্ট্রীয় ক্ষমাও পেতে পারেন।

Share.