হামাসকে ‘সন্ত্রাসী’ তালিকায় অন্তর্ভুক্তের পরিকল্পনায় অস্ট্রেলিয়া সরকার

0

ডেস্ক রিপোর্ট: ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা আন্দোলনকারী হামাসের রাজনৈতিক শাখাকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া সরকার। চলতি বছরের এপ্রিলে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হবে। আল জাজিরা জানায়, ২০০৩ সালে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাশেম বাহিনীকে ‘সন্ত্রাসী’ সংগঠনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছিল দেশটি। কিন্তু এবার রাজনৈতিক শাখাসহ পুরো হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্তের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার পক্ষে ২০০৭ সাল থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে হামাস। গত বছরের মে মাসে ইসরাইলি হামলায় ২৪৮ জন প্যালেস্টাইনের নাগরিক মারা যায়। এদের মধ্যে ৬৬ জন শিশুও রয়েছে। প্রায় দুই হাজার নাগরিক আহত হয়। বিপরীতে গাজা থেকে ছোঁড়া রকেট হামলায় দুই শিশুসহ অন্তত ১২ ইসরায়েলি নাগরিক মারা যায়। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে হামাসের মতাদর্শের কোনো স্থান নেই বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারেন আন্ড্রুস। তিনি বলেন,‘আমাদের আইন শুধু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নয়, যারা সন্ত্রাসমূলক কাজের পরিকল্পনা ও অর্থায়ন করে সেসব সংগঠনও এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত।’ অস্ট্রেলিয়ার আইনে কেউ সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্যপদ, নিয়োগ, প্রশিক্ষণ গ্রহণ বা তহবিল গঠন কাজে জড়িত থাকলে ২৫ বছর কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। বৃহস্পতিবার হামাস তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া না দিলেও অস্ট্রেলিয়া প্যালেস্টাইন অ্যাডভোকেসি নেটওয়ার্ক (অস্ট্রেলিয়ার যেসব নাগরিক প্যালেস্টাইনদের অধিকারের সমর্থক তাদের সংগঠন) অস্ট্রেলিয়া সরকারের নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে। তাদের দাবি, এ নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে ওই অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে না। ফিলিস্তিনে বসবাসরত দুই মিলিয়ন মানুষের জীবনে দুর্গতি নেমে আসবে। নেটওয়ার্ক প্রেসিডেন্ট বিশস জর্জ ব্রাউনিং বলেন,‘প্যালেস্টাইনে শান্তি প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে সরকার প্যালেস্টাইন ও ইসরাইলের জন্য দ্বিমুখী নীতি দেখাচ্ছে।’ অস্ট্রেলিয়ার এ পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী। এক টুইট বার্তায় নাফটালি বেনেট লিখেন, বিশ^জুড়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড মোকাবেলায় এটি (নিষেধাজ্ঞা) আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রিটেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন হামাসকে সন্ত্রাসী সংগঠনের অন্তর্ভুক্ত করেছিল।

Share.