‘হার্ড ইমিউনিটিতে’ ভরসা হোয়াইট হাউসের নতুন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার

0

ডেস্ক রিপোর্ট: হোয়াইট হাউসের নেওয়া মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কার্যক্রমে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্কফোর্সের প্রধান অ্যান্থনি ফসির চেয়ে নবনিযুক্ত স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ড. স্কট অ্যাটলাসই প্রাধান্য পাচ্ছেন।  ট্রাম্প ও তাঁর করোনা যুদ্ধের নতুন সহযোগী ড. স্কট অ্যাটলাস মনে করেন, করোনার সংক্রমণ থামানো বা নির্মূল সম্ভব নয়। কয়েক সপ্তাহ ধরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টাদের মধ্যে এ নিয়ে মতবিরোধও কাজ করছে বলে সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র দুই মাস বাকি। এখন মূলত যেকোনো মূল্যে অর্থনীতির চাকা ঘোরাতে চাইছে হোয়াইট হাউস। শুধু হাসপাতালগুলোতে যেন অস্বাভাবিক অবস্থা না তৈরি হয়, তা ঠিক রেখে দোকানপাটসহ সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে দিতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন।হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্কফোর্সের গতি অনেকটা মন্থর হয়ে উঠেছে। নিয়মিত সভাও হচ্ছে না, সদস্যদের মতের চেয়ে নতুন স্বাস্থ্য উপদেষ্টার মত প্রাধান্য পাচ্ছে। যদিও টাস্কফোর্সের প্রধান ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স নির্বাচনী প্রচারে রাজধানীর বাইরের শহরগুলোতে ছুটে বেড়াচ্ছেন। যে কয়টি সভা হচ্ছে, তাতে অ্যান্থনি ফসি কোনোটিতে থাকছেন, কোনোটিতে থাকছেন না। তাঁর অনুপস্থিতিতে বড় বড় সিদ্ধান্তও নেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে।দুজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সিএনএন বলছে, ভ্যাকসিন আসার আগ পর্যন্ত হোয়াইট হাউস এখন পরিস্থিতি কোনোরকমে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখতে চাইছে।এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘তিনি (ড. অ্যাটলাস) হার্ড ইমিউনিটির ওপরই ভরসা রাখতে চাইছেন।’ গণহারে নমুনা পরীক্ষারও বিপক্ষে মত দিচ্ছেন ড. অ্যাটলাস। তাঁর মতে, বয়স্কদের সবার নমুনা পরীক্ষা করাতে হবে এবং অর্থনৈতিক সব কার্যক্রম সচল করতে হবে। এসব অবস্থানের কারণে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বাদানুবাদেও জড়ান ড. অ্যাটলাস। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও হোয়াইট হাউস চিফ অব স্টাফ মার্ক মেডোস নতুন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা ড. অ্যাটলাসের প্রতি বেশিই ঝুঁকে পড়ছেন। নিউরোরেডিওলজিস্ট ড. স্কট অ্যাটলাস মহামারি বিশেষজ্ঞ নন। স্বাস্থ্য খাতের বেসরকারীকরণ ও আর্থিক বিষয়াবলিতে তাঁর বিশেষ কাজের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফক্স নিউজে সম্প্রতি বেশ কয়েকবারের কথা বলায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নজরে আসেন স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির হুভার ইনস্টিটিউশনের এই গবেষক। পরে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত ৬২ লাখ ৫৭ হাজার ৫৭১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে এক লাখ ৮৮ হাজার ৯০০ জনের। আর সুস্থ হতে পেরেছে ৩৪ লাখ ৯৬ হাজার ৯১৩ জন। বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের সর্বশেষ পরিসংখ্যান জানার অন্যতম ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এসব তথ্য দিয়েছে।

Share.