হিলি স্থলবন্দরে ফের অস্থিতিশীল পেঁয়াজের বাজার

0

ঢাকা অফিস: ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করায় গত ১৪ দিন ধরে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া পুরনো এলসির বিপরীতে রফতানি করা পেঁয়াজের মজুত শেষ হওয়ায় হিলিতে ফের অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার। দু’দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ১৫/২০ টাকা করে বেড়েছে। দু’দিন আগেও পেঁয়াজ ৫০/৫৫ টাকা বিক্রি হলেও এখন তা বেড়ে ৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজ আমদানি না হলে দাম ফের বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রবিবার (১৩ অক্টোবর) সরেজমিন হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকদের গুদাম ঘুরে দেখা গেছে, পুরনো এলসির বিপরীতে আমদানি করা পেঁয়াজ শেষ হয়ে যাওয়ায় গুদাম ঘর বন্ধ রেখেছেন অনেকে। তবে দু-একজন আমদানিকারকদের গুদামে কিছু পেঁয়াজ আছে। পাইকার রফিকুল ইসলাম ও সুজন হোসেন জানান, কয়েকদিন আগে হিলি থেকে পেঁয়াজ কিনেছিলেন ৪০-৪৫ টাকা কেজি দরে। দু’দিন আগেও যা ৫০-৫৫ টাকা কেজি দরে কিনেছেন। এখন তা কিনতে হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। আর যেসব পেঁয়াজ খারাপ সেগুলো বস্তা ২০০-৩০০ টাকা দরে কিনলেও এখন সেই পেঁয়াজ ২০-২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আবারও পেঁয়াজের দাম বাড়তির দিকে। এতে করে আমাদের কিনতেও সমস্যা হচ্ছে, তেমনি বিক্রি করতেও সমস্যা হচ্ছে। হিলি বাজারের খুচরা পেঁয়াজ বিক্রেতা রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমরা যেমন দামে পেঁয়াজ কিনি তার সঙ্গে কিছু লাভ করে তা বিক্রি করি। তিন দিন আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজ আমরা কিনেছিলাম ৫০-৫২ টাকা কেজি দরে। তখন বিক্রি করেছিলাম ৫৫ টাকা কেজি দরে। গতকাল ৬৫ টাকা কিনেছি যা আজ ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। আর পেঁয়াজের এই দাম বাড়ার কারণে অনেক ক্রেতা দাম শুনে ঘুরে যাচ্ছেন। আবার কেউ নিলেও আগে আড়াই কেজি নিতেন এখন সেখানে এককেজি বা দেড় কেজি কিনছেন।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পেঁয়াজ বিক্রেতা জানান, আমদানিকারকদের অনেকের গুদামে পেঁয়াজের মজুত রয়েছে। যেহেতু ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে তাই তার প্রয়োজন অনুযায়ী পেঁয়াজ সরবরাহ না করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক বাবলুর রহমান বলেন,  এখন আমদানিকারদের ঘরে কোনও পেঁয়াজ নেই। দু-একজনের কাছে কিছু পেঁয়াজ রয়েছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় ও চাহিদা বাড়ায় ফের পেঁয়াজের দাম বাড়তে শুরু করেছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যদি ভারত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে পেঁয়াজ রফতানির অনুমতির ব্যবস্থা করতে পারতো তাহলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম কমতো। হিলি স্থলবন্দর আমদানি রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশীদ হারুন বলেন, পেঁয়াজ রফতানির বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনও সিন্ধান্ত হয়নি। ভারত পেঁয়াজ রফতানি না করলে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দামের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে।

Share.