হোসেনপুর-লাকুহাটি-কিশোরগঞ্জ সড়কের পানান ব্রিজের সংস্কার কাজে ধীরগতিতে জনদুর্ভোগ

0

বাংলাদেশ থেকে কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর-লাকুহাটি-কিশোরগঞ্জ সড়কের পানান ব্রীজের ধীরগতির কারনে হোসেনপুর ও কিশোরগঞ্জের দুই উপজেলার প্রায় দুই লক্ষাধিক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাই ভুক্তভোগিরা এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করে জরুরি প্রতিকার দাবি করেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হোসেনপুর উপজেলার হাজীপুর বাজার থেকে গোবিন্দপুর চৌরাস্তা হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলা সদরে যাতায়তের জন্য একমাত্র সড়কপথে ওই পানান সেতু । এটি গাবিন্দপুর ইউনিয়নের ওপর দিয়ে ফটিকখালী এলাকায় নরসুন্দা নদের ওপর ৪৫ মিটার দৈর্ঘের ৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা ব্যয়ে ফটিকখালী সেতুটি নির্মাণের জন্য গত দুই বছর আগে কার্যাদেশ পায় জেলার মির্জা কনস্ট্রাকশান ও মাসুম কনস্ট্রাকশান নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু তারা যথাসময়ে নির্মাণ কাজ শুরু না করা ও ধীরগতি কাজের জন্য চলতি বর্ষা মওসুমে নদের পানি বৃদ্দি পাওয়ায় বিকল্প সড়কে দুই উপজেলাবাসির লোকজন চরম দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছেন। স্থানীয় গোবিন্দপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম হিমেলসহ অনেকেই জানান, জন দুর্ভোগ লাঘবে সেতু নির্মাণের দাবিতে গত বছরের ৩০ আগষ্ট এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেও আশানুরোপ কোনো প্রতিকার মিলেনি। সে সময় মির্জা কনস্ট্রাকশানের মালিক মো: মোফাজ্জল হোসেন জানিয়েছিলেন, ডাইভারসনের অংশে চুক্তির শর্ত মোতাবেক নদের অংশে আরসিসি পাইপ দিয়ে মাটি ভরাট করা হলেও গত বছরের মে মাসের প্রথম সপ্তাহে বৃষ্টির পানি প্রবাহের কারণে তীব্র স্রোতে মাটি সরে গিয়ে কিছুটা বেহাল অবস্থার সুষ্টি হয়েছে। তবে তাদের দাবি পানি না শুকানোর আগে বাকি কাজ কোন ভাবেই শেষ করা যাবে না। চুক্তির মেয়াদ আরো কিছুদিন থাকলেও শুকনা মৌসুম শুরু হলে বাকি কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন বলেও আশা তাদের। তবে স্থানীয় প্রকৌশল অফিস জানায়,ওই ব্রীজের কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারদের সাথে সমন্বয় রেখে জোড় প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন।

 

 

 

 

 

 

 

Share.