১০ ঘণ্টা অপেক্ষা শেষে লিওনেল মেসির সাক্ষাৎ পেলেন ভক্ত

0

স্পোর্টস রিপোর্ট: প্রিয় তারকাকে নিয়ে আগ্রহের কোনো কমতি থাকে না ভক্তদের মধ্যে। একপলক প্রিয়তমকে দেখার জন্য কতই না কাণ্ড করেন ভক্তরা। এরপর কপালের বিড়ম্বনায় অনেক সময় তাদের সাক্ষাৎ জোটেও না। অনেক সময় সৌভাগ্যবান হলেই মিলে প্রত্যাশিত তারকার সাক্ষাৎ। তাদেরই একজন হুয়ান পোলকান। বাসার সামনে ১০ ঘণ্টা অপেক্ষা শেষে বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন তারকা লিওনেল মেসির সাক্ষাৎ পেয়েছেন এই ভক্ত। তবে শুধু সাক্ষাতেই পরিশ্রান্ত থাকেননি এই ভক্ত। আর্জেন্টাইন মহাতারকার বাসায়ও ঢুকেছেন পোলকান। এমনকি মেসির দেওয়া অটোগ্রাফ ট্যাটুও করিয়েছেন শরীরে। এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন সংবাদমাধ্যম ‘ইনফোবে’। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোলকান নিজেও বিষয়টি জানিয়েছেন। এমনকি মেসির অটোগ্রাফ দেওয়ার ভিডিও ও ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছেন। টিকটকে ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। প্যারিসে গিয়ে মেসির বাড়ির দরজার সামনে ১০ ঘণ্টা বসেছিলেন আর্জেন্টাইন এই ফুটসাল খেলোয়াড়। তার ধারণা ছিল, অলৌকিক কোনোভাবে মেসির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হতে পারে। তবে এমনভাবে মেসির সাক্ষাৎ পাবেন তিনি, এমনটা কল্পনাও করেননি তিনি। পোলকানের ভাষ্য, একপর্যায়ে মনে হয়েছিল কোনো সুযোগ নেই। কারণ, তিনি (মেসি) পাত্তা দিচ্ছিলেন না। নিরাপত্তাপ্রহরী এসে বলেছে তিনি পুলিশে জানাবেন। কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি। কারণ, মেসির সঙ্গে দেখা করতে প্যারিসে দুইদিন থাকার পরিকল্পনা ছিল। এই ফুটসাল খেলোয়াড়ের দাবি, হঠাৎ আন্তোনেলা (মেসির স্ত্রী) এসে দরজা দেখিয়ে আমাকে আসতে বললো। দৃশ্যটা কখনও ভুলব না। সে আমার জন্য বাসার দরজা খুলেছে! অন্য কোথাও দেখা করতে পারতো, কিন্তু তা না করে নিজের বাসায় ডেকেছে। পোলকান বললেন, বাসায় ঢোকার পর প্রথমে চোখে পড়েছে যে দৃশ্যটি-মেসি শর্টস ও স্যান্ডাল পরে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে হ্যালোও বলেছে। অবিশ্বাস্য মুহূর্ত। তাকে বলেছি, কতটা ভালোবাসি। একসঙ্গে ছবি তুলেছি। আমার ফুটসাল ক্লাবের জার্সিতে তিনি অটোগ্রাফও দিয়েছেন। আমাকে বুকে টেনে নিয়েছেন এবং হাতের বাহুতে অটোগ্রাফও দিয়েছেন। তখন আমার হাত কাঁপছিল, এমন আগে কখনও অনুভব হয়নি। অটোগ্রাফটি হাতে ঠিকমতো দিতে মেসিই আমাকে শান্ত করেন। এদিকে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের সঙ্গে দেখার করা নিয়ে ইনস্টাগ্রামে একটি ছবিও পোস্ট করেছেন পোলকান। ছবির ক্যাপশনে তিনি লিখেছেন, স্বপ্ন সত্যি হলো। আজ আমার সারা জীবনের স্বপ্নপূরণ হলো। ইতিহাসের সেরা হয়েও যে আন্তরিকতা ও সরলতার সঙ্গে আপনি আমাকে বরণ করে নিয়েছেন, সেটা শুধু অসাধারণ মানুষের কথাই বলে। আন্তোনেল্লাও আমাকে বাসায় নিয়ে এসে স্বপ্নপূরণের সুযোগ করে দিয়েছেন। এই কথাগুলো আমি লিখছি, যখন চোখ ভিজে যাচ্ছে আবেগে। শরীর কাঁপছে। হে খুদে জাদুকর, আমি তোমাকে ভালোবাসি। অবিস্মরণীয় মুহূর্তের জন্য ধন্যবাদ।

Share.