১১ বছরে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে: মান্না

0

ঢাকা অফিস: গত ১১ বছরে নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না।  মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আদর্শ নাগরিক আন্দোলন আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে সদ্য অনুষ্ঠিত নির্বাচন বাতিল ও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) পদত্যাগের দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়। মান্না বলেন, ‘সরকারের দেওয়া হিসাবের পরিপ্রেক্ষিতে যদি গড় করা হয়, তাহলে হয়তো ২৭ শতাংশ ভোট পড়েছে। কত শতাংশ ভোট পড়লে নির্বাচন হবে, তার জন্য দেশে কোনও আইন নেই। ভোট কম পড়েছে বলে যদিও দাবি করা হয়, কিন্তু ভোট বাতিলের ক্ষেত্রে তারা (নির্বাচন কমিশন) হাইকোর্ট দেখাবেন। তবে এ নির্বাচনে যদি দুই পারসেন্ট ভোটও পড়তো, তাহলেও আওয়ামী লীগই জিততো। কারণ, মানুষ আগে থেকেই বুঝেছে যে, ২০১৮ সালের নির্বাচনের মতো তারা জিতবে। ভোটের ওপর মানুষের আস্থা নেই। এজন্য মানুষ ভোট দিতে আসেনি। এভাবে গত ১১ বছরে সারাদেশে নির্বাচনি ব্যবস্থাকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘সরকার একে একে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষ ভোট দিতে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে যে এত কম ভোট পড়লো, এর কারণ কী? ভোটাররা আমাদের প্রার্থীদের জানিয়েছেন, ভোট দিয়ে লাভ কী? ফলাফল তো আসে না।’ মান্না বলেন, ‘২০১৮ সালে যে কাজ করা হয়েছে, সেই কাজের মাধ্যমে মানুষ বুঝেছে- এই দেশে মানুষের ভোট দেবার অধিকার আর নাই। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট ডাকাতি করা হয়েছে। এই কাজ করে সারাবিশ্বে নিন্দিত হয়েছে সরকার। এবার ভোট ডাকাতির করার জন্য তারা নতুন মেশিন বের করেছে, যেখানে তাদের গুণ্ডামি করতে না হয়, পুলিশের ছলনা করতে না হয়।’ নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, ‘এখন প্রতিদিন খবরের কাগজে ছাপা হচ্ছে-  কত লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? দুর্নীতি হয় ব্যাংকে, ব্যাংকগুলো নিঃস্ব। দুর্নীতি হয়েছে শেয়ারবাজারে। শেয়ারবাজারের মানুষ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই যে ইব্রাহিম খালেদের রিপোর্ট, এই যে লাখ লাখ কোটি টাকা চুরি করেছে- শেয়ারবাজার ধ্বংস করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। আপনিতো রিপোর্টই প্রকাশ করতে পারেন না।’ তিনি বলেন, ‘এ দেশের মানুষের এখন এমন অবস্থা হয়েছে যে, পেঁয়াজ, আদা, লবণ, তেল কিনতে গিয়ে দাম নিয়ে চিন্তা করতে হয়। সরকার টেলিভিশনে পদ্মাসেতুর স্প্যান দেখিয়ে বলে-  ব্যাপক উন্নয়ন হচ্ছে। আমার পেটে খিদের আগুন, আমার জীবন ওষ্ঠাগত। ওনারা শুধু পদ্মাসেতু আর ফ্লাইওভার দেখান। মনে হয় আমরা ফ্লাইওভার খেয়ে বেঁচে থাকবো। এত বড় প্রতারণার রাজনীতি গত ৪৯ বছরে আমরা দেখিনি।’ আদর্শ নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি মাহমুদুল হাসানের সভাপতিত্বে কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন-  বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, জাগপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আসাদুর রহমান খান, কৃষক দল নেতা লায়ন মিয়া মোহাম্মদ আনোয়ার, কেএম রকিবুল হাসান রিপন, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

Share.