৪০ কোটি ডিম উৎপাদিত হচ্ছে বাগেরহাটে

0

বাংলাদেশ থেকে বাগেরহাট প্রতিনিধি: “শিশুর মেধা ও সু-স্বাস্থ্যের জন্য প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলে ডিম রাখা অতি আবশ্যক। একটি ডিম শিশুকে সারাদিন সতেজ ও উৎফুল্ল রাখতে সহায়তা করে।” বাগেরহাটে ‘বিশ্ব ডিম দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় বক্তারা এ কথা বলেন। শুক্রবার সকালে “প্রতিদিন ডিম খাই, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই” প্রতিপাদ্য বিষয়ে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডা: লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সভায় সম্মানিত অতিথির বক্তব্য রাখেন, বাগেরহাট ডিসট্রিক্ট পলিসি ফোরাম ও ক্যাব-এর সভাপতি বাবুল সরদার, উপসহকারী প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা একরামুল কবির, পল্ট্রিফার্ম এসোসিয়েশনের কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন, আব্দুল কুদ্দুস, রেনেটা কোম্পানীর এরিয়া ম্যানেজার কামরুল ইসলাম প্রমুখ। বর্ণাঢ্য র্যালী শেষে জেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ে এদিন সকালে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় মূল প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন আঞ্চলিক হাঁস প্রজনন খামারের পোল্ট্রি ডেভেলপম্যান্ট অফিসার এ.এফএম ফয়জুল ইসলাম। সভায় জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ লুৎফর রহমান জানান, বর্তমান হিসেব অনুযায়ী প্রতিজনের জন্য ১০২ টি ডিম হিসেবে এ জেলায় বর্তমানে বাৎসরিক ১৮ কোটি ডিমের চাহিদা রয়েছে। তবে উৎপাদিত হচ্ছে প্রায় ৪০ কোটি ডিম। পোল্ট্রিফার্ম খামারীরা বলেন, জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের পরামর্শ ও তত্বাবধানে তারা ফার্মে এন্টিবায়োটিকের ব্যবহার খুবই কম করছেন। ফলে অধিক স্বাস্থ্যসম্মত ডিম উৎপাদিত হচ্ছে। সভায় বক্তারা আরও বলেন, সহজলভ্য একটি ডিম শিশুর প্রতিদিনের পুষ্টি চাহিদা পূরণে অনেক সহায়ক। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ও মেধা শক্তি বৃদ্ধিতে ডিমের ভূমিকা খুবই উপযোগী। ডিমের ভিটামিন এ, ই, কে এবং ডি শিশুর হাড়ের বিকাশ ও স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে। ডিমের সাদা অংশে রাইবোফ্লাভিন থাকে, যা কার্বোহাইড্রেট থেকে এনার্জি তৈরি করে শিশুকে সতেজ ও উৎফুল্ল রাখে। স্কুলে মিড ডে মিলের জন্য উৎপাদনমূল্যে ডিম সরবরাহের অঙ্গীকার করে সভায় খামারীরা সরকারের সহযোগীতা কামনা করেণ। তারা বলেন, কয়েক লাখ বেকার যুবা এখন পোল্ট্রি শিল্পের সাথে জড়িত। তাই ডিমকে সবার কাছে পৌছানোর জন্য এবং ডিম বিষয়ে সচেতনার জন্য তারা আহব্বান জানান।

Share.